ধূপগুড়ি: সরকারি বাংলো নাকি ডাম্পিং গ্রাউন্ড ? দেখলে বোঝার উপায় নেই। জলপাইগুড়ি ধূপগুড়ি শহরের বুকে জেলা পরিষদ ইন্স্পেকশন ডাকবাংলোর এমই হাল। সরকারি বাংলো চত্বরে অবস্থা দেখলে এই প্রশ্ন যে কোনও মানুষের মনেই জাগতে পারে। কারণ শহরের নোংরা আবর্জনা এনে ফেলা হচ্ছে এই বাংলা চত্বরেই। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। দূষণ বাড়ছে এলাকায়।
ধূপগুড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ইন্সপেকশন ডাক বাংলো। এখানে দু’টি বিল্ডিং রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতির জন্য একটি সংরক্ষিত কক্ষ। অন্যটি হল মন্ত্রী অথবা ভিভিআইপিদের বিশ্রাম কক্ষ। এই বাংলোর গা ঘেষে রয়েছে একাধিক সরকারি অফিস। তাছাড়া বাংলো চত্বরের ভিতরেই রয়েছে জেলা পরিষদের মার্কেট ফান্ডের অফিস। বিয়ে, জন্মদিন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য এই ডাকবাংলো ভাড়া দেওয়া হয়ে থাকে। মোটা টাকা মুনাফা আয় করে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। আর সেই ডাকবাংলোর এই হাল!
অভিযোগ, ধূপগুড়ি শহরের সাফাই করা নোংরা আবর্জনা এনে ফেলা হচ্ছে শহরের এই বাংলোর ভিতরে। একদিকে যেমন ছড়াচ্ছে দূষণ এবং দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। শুধু তাই নয়, প্রাচীরের আর একপাশে রয়েছে পৌর ফুটবল ময়দান। যেখানে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ সকালে, দুপুরে, বিকালে, সন্ধেয় শরীর চর্চা করতে অথবা খেলতে ভিড় জমান। এমনই হাল। সাফাই কর্মী মৃন্ময় বলেন, “এগুলো জেলা পরিষদের নোংরা এখানেই ফেলা হচ্ছে। আগে থেকেই ফেলা হচ্ছে। কেউ কিছু বলে না। কোথায় ফেলা যাবে জায়গা দেখিয়ে দিলে সেখানেই ফেলব।” অপরদিকে, ধূপগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা জেলা তৃণমূল সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং বলেন, “পুরোটাই আমাদের নজরে রয়েছে। কর্মীদের একদিন ছুটি থাকে। এটা নিয়ে এসিডও ম্যাডামের সঙ্গে মিটিং করেছি। দেখছি কী করা যেতে পারে।”