Dhupguri: প্যান্ট খোলা নিয়ে ঝামেলা, বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খেয়েই নিলেন তৃণমূল কর্মী!

Dhupguri: সে সময়  ওই এলাকাতেই ছিলেন বারঘরিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা বিনয় রায়। তিনি ঘটনার প্রতিবাদ করেন। রশিদুলকে বাধা দেন। বিনয় আমার বিজেপি কর্মী। বিষয়টিতে লাগে রাজনীতির রঙ।  দু'জনের মধ্যে বাগ বিতণ্ডা শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয়,  হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু'জন। 

Dhupguri: প্যান্ট খোলা নিয়ে ঝামেলা, বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খেয়েই নিলেন তৃণমূল কর্মী!
ধূপগুড়িতে নৃশংসতার নয়া নজিরImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2024 | 12:45 PM

জলপাইগুড়ি:  হিংসা ঠিক কত দূর পৌঁছতে পারলে এমনটা হয়! পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে এক তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যালট গিলে খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার এক বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। শিউরে ওঠার মতো ঘটনা  ধূপগুড়ি পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেশন মোড় এলাকায়।  বৃহস্পতিবার রাতে ধূপগুড়ি স্টেশন মোড়ে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। স্টেশনের পাশেই চপের দোকানে এসেছিলেন বছর চৌত্রিশের এক যুবক। ঘটনার মূল অভিযুক্ত  রশিদুল রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মী ওই যুবককে বারবার উত্ত্যক্ত করছিলেন, তাঁকে  উলঙ্গ করবার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ।

সে সময়  ওই এলাকাতেই ছিলেন বারঘরিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা বিনয় রায়। তিনি ঘটনার প্রতিবাদ করেন। রশিদুলকে বাধা দেন। বিনয় আমার বিজেপি কর্মী। বিষয়টিতে লাগে রাজনীতির রঙ।  দু’জনের মধ্যে বাগ বিতণ্ডা শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয়,  হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু’জন।

অভিযোগ এরপরই রশিদুল রহমান চড়াও হন বিনয় রায়ের ওপর। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, কামড়ে ছিঁড়ে খান বিনয় রায়ের কান। এরপরই আশেপাশের বাসিন্দারা আহত বিনয় রায়কে তড়িঘড়ি নিয়ে যায় ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। আজ এ বিষয়ে বিনয় রায় ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে আসেন। এদিকে তৃণমূল কর্মীর এভাবে কান কামড়ে খাওয়ার ঘটনা ছড়াতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধূপগুড়িতে।

আক্রান্ত ব্যক্তির কথায়, “এক ছেলের বারবার প্যান্ট খুলে নিচ্ছিল। আমি বাধা দিয়েছিলাম। কানের অনেকটা অংশই কামড়ে খেয়ে নিয়েছে। আগে তো হকারি করত। এখন এসবই করে বেড়াচ্ছে। আমি বিজেপি করি। ও তৃণমূল করে।” ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “কানের অর্ধেকটা অংশই ছিল না। চিকিৎসকরা জানান সেলাই করার মতো পরিস্থিতিই ছিল না। রশিদুলের তো দাঁতেই কান আটকে ছিল।”

ঘটনায় বিজেপি কনভেনার চন্দন দত্ত বলেন, “এর থেকে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে, তৃণমূল এতদিন বালি খেত, কয়লা খেত. ব্যালট পেপার খেত! এখন বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খেল! সন্ধ্যার পরই তৃণমূলের নেশাগ্রস্ত নেতারা এসবই করেন।” আক্রান্ত কর্মীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। দোষীর অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিপুল ইসলামের বক্তব্য, “ওরা কী খেয়েছে, কী খেয়ে ইয়ার্কি ফাজলামো করেছে, আমি জানি না। আমার জানার কথাও নয়।” ঘটনার পর থেকে ফেরার অভিযুক্ত।