জলপাইগুড়ি: মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাত কমাতে এবার ভাল্লুক এবং বাইসনকে রেডিয়ো কলার পড়ানোর উদ্যোগ। তারই প্রশিক্ষণ শুরু হল গরুমারা জাতীয় উদ্যানের মূর্তিতে। জার্মানের এক সংস্থার সহযোগিতায় এই প্রথম ভাল্লুকের পাশাপাশি বাইসন কেউ রেডিয়ো কলার পড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হল। ডুয়ার্সের লোকালয়ে মাঝেমধ্যেই চলে আসে বাইসন। বাইসনের হামলায় কখনও প্রাণ যায় মানুষের, আবার মৃত্যু হয় বাইসনেরও। এই টেনশন তো বনদফতরের মাথায় আগে থেকেই ছিল তবে নতুন করে গত দুই বছর ধরে লোকালয়ে চলে আসছে ভাল্লুক। আর তাই ভাল্লুক ও বাইসনের গতিবিধির উপর নজর রাখতে এবং মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সংঘাত এড়াতে রেডিয়ো কলার পরানোর উদ্যোগ নিল বনদফতর। বাইসন ও ভাল্লুকের গতিবিধি জানতে এই ধরনের রেডিয়ো কলার পরানোর উদ্যোগ এই প্রথম বলে জানা গিয়েছে। গরুমারার মূর্তিতে দুই দিন ব্যাপী রেডিয়ো কলার পরানোর এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
ঘুমপাড়ানি গুলি করে রেডিয়ো কলার পরানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এই শিবিরে৷ জার্মানের একটি সংস্থার সহযোগিতায় এই শিবির চলছে বলে জানিয়েছে বনদফতর । এদিনের শিবিরে বনদফতরের জলপাইগুড়ি বনবিভাগ, গরুমারা বন্যপ্রাণ ও কার্শিয়াং বনবিভাগের বনকর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন। বনদফতরে আশা, এর থেকে একটা পরিষ্কার ধারণা বনদফতরের কাছে আসবে কতগুলি ভাল্লুক রয়েছে ডুয়ার্সের জঙ্গলে। একই ভাল্লুক নাকি নতুন করে আসছে। ঠিক একই ভাবে বাইসনের গতিবিধির ওপরেও নজরদারি চালাবে বন দফতর।