Dooars School: বাংলায় আজব স্কুল! ছাত্র নেই, বাড়িতে বসে বেতন পান শিক্ষকরা
Dooars School: ডুয়ার্সের চা বলয়ে অসংখ্য হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের বসবাস। আর সেই চা বলয়ের চা শ্রমিকদের সন্তানদের কথা ভেবে দেবপাড়া চা বাগানে খোলা হয়েছিল জুনিয়ার হিন্দি হাই স্কুল।

জলপাইগুড়ি: ঝাঁ চকচকে ভবন। সমস্ত রকমের পরিকাঠামোও রয়েছে। ক্লাসরুমে ব্ল্যাকবোর্ড ঝুলছে। কিন্তু বেঞ্চগুলো খালি। সেই ব্ল্যাকবোর্ডে পড়ে না কোনও চকের আঁচড়। আসলে স্কুল যে পড়ে না কারোরই পায়ের ধুলো! শিক্ষকরা আসেন না। তাই আসে না পড়ুয়ারাও। অভিযোগ উঠছে, শিক্ষকরা স্কুলে না গিয়ে কেবল বাড়িতে বসেই প্রত্যেক মাসের বেতন গুনছেন। তাই ছাত্র সংখ্যা কমতে কমতে শূন্যতে দাঁড়িয়েছে । ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের দেবপাড়া হিন্দি জুনিয়র স্কুলের ঘটনায় রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
লক্ষ্য ছিল চা বলয়ের শিশুদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটানো। প্রত্যন্ত চা বলয়ে হিন্দি স্কুল তৈরি করা হয়েছিল। শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন তো দূর অস্ত। বর্তমানে সেই স্কুল বন্ধের পথে। ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের দেবপাড়া হিন্দি জুনিয়র স্কুলে একজন ছাত্র ছাত্রীও নেই। শিক্ষকরাও চলে গিয়েছেন অন্যত্র। বর্তমানে শিক্ষক ও পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ স্কুল। স্থানীয় বাসিন্দারা চান, দ্রুত স্কুলের হাল ফেরানো হোক।
ডুয়ার্সের চা বলয়ে অসংখ্য হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের বসবাস। আর সেই চা বলয়ের চা শ্রমিকদের সন্তানদের কথা ভেবে দেবপাড়া চা বাগানে খোলা হয়েছিল জুনিয়ার হিন্দি হাই স্কুল। এই স্কুলে দু’জন শিক্ষক ছিলেন, কিন্তু তাঁরাও এখন নেই। একজন “উৎসশ্রী” পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করে বদলি নিয়েছেন। আর একজন মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করে রেখেছেন। স্বাভাবিকভাবে চরম সমস্যায় পড়েছে এলাকার পড়ুয়ারা । অভিযোগ, শিক্ষকরা সঠিকভাবে স্কুলে দায়িত্ব পালন করেননি। যার ফল প্রতিবছর অল্প অল্প করে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমতে শুরু করে। বর্তমানে যা শূন্যতে দাঁড়িয়েছে। যাঁরা শিক্ষক ছিলেন তাঁরাও নিয়মিত স্কুলে আসতেন না। তাই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে হিন্দি জুনিয়র হাই স্কুল। আর সেখানেই বাড়ছে অসামাজিক কার্যকলাপ।
বন্ধ হতে বসা হিন্দি জুনিয়র হাইস্কুলের পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা স্কুলের একটি ঘরকে আইসিডিএস সেন্টার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ বাগানে কোন আইসিডিএস সেন্টার নেই। আর যেহেতু স্কুলটি বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে, তাই শ্রেণিকক্ষটিকে অস্থায়ীভাবে আইসিডিএস সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্কুল ইন্সপেক্টর শেফালি ওঁরাও অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। তবে তাঁর বক্তব্য, “এই স্কুলটাকে এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের আবেদনের ভিত্তিতে বাংলা মিডিয়াম করার ভাবনা চিন্তা চলছে।”
