ধূপগুড়ি: বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করেও মিলছে না বকেয়া টাকা। প্রায় ১৮ কোটি বকেয়া বিল না মেলায় থালা বাজিয়ে বিডিওকে (BDO) ঘেরাও। টানা ৬ ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ চলল ধূপগুড়িতে (Dhupguri)। কাটমানি না দিলে মেলে না কাজ, মেলে না কাজের বিল, এমনটাই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। অভিযোগ, বকেয়া মিলছে না প্রায় পাঁচ বছর ধরে। বারবার বিডিও-র কাছে আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি। আবেদন করা হয় জেলাশাসকের কাছেও। কিন্তু, কোনও সাড়া মেলেনি। আর সে কারণেই এদিন বিডিওকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখলেন ঠিকাদারদের সংগঠন কন্ট্রাকটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। এদিকে, বিক্ষোভের খবর যায় পুলিশে। মুহূর্তেই বিডিও অফিস চত্বর পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায়।
দুপুর থেকে বিডিও অফিস চত্বরে বিক্ষোভ চললেও বিকেল পাঁচটার পর আন্দোলনকারীরা বিডিও শঙ্খদীপ দাসের অফিস কক্ষের দরজার সামনে গিয়ে বসে পড়েন। চলতে থাকে স্লোগানিং। বিক্ষোভের জেরে ঘরের মধ্যে আটকা পড়ে যান বিডিও। শেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বিডিও-র মৌখিক প্রতিশ্রুতি পেয়ে উঠে যায় বিক্ষোভ। সূত্রের খবর, আন্দোলনকারীদের সমস্ত দাবি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও। পাশাপাশি শুক্রবার জেলা শাসকের দফতের অতিরিক্ত জেলা শাসক আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন বিডিও।
ধূপগুড়ি কন্ট্রাকটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত বলেন, “বকেয়া টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে। কাজ হয়ে যাওয়ার পরেও কারও তিন বছর, কারও ২ বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে কাজের টাকা। যেখানেই কাজ করতে যাচ্ছি সেখানেই আমাদের কাট বানিয়ে দিতে হচ্ছে। না দিলে সেখানে কাজ করা যায় না। কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বিল পাওয়ার নিয়ম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বিডিওকে ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নিই। আমরা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফরেরও কাজ করেছি। তিনটি বড় ব্রিজ, দুটি বড় বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে। তার বিল এখনও পাওয়া যায়নি। এছাড়া আরো বহু ছোট ছোট কাজ হয়েছে যেগুলির টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আজকে আমাদের এই পথ বেছে নিতে হয়েছে।” ঘটনা প্রসঙ্গে বিডিও শঙ্খদীপ দাস বলেন, “ওরা বকেয়া টাকার দাবিতেই আন্দোলন করছিল আজ। সরকার থেকে টাকা না দিলে আমরা পেমেন্ট করব। এখন তো টাকা নেই। পেমেন্ট কী করে করব?”