মেলবোর্ন: ৪০ বছর হয়ে গেল বিদেশে পাড়ি দিয়েছে চট্টোপাধ্যায় পরিবার। বাংলাদেশ থেকে মেলবোর্ন। এত দূরে গিয়েও বদলায়নি নিয়ম। আজও রীতি মেনে হয় দুর্গা পুজো। কুমারীর পুজোর নিয়মও বাদ যায়না কোনও বছর। মিলে যায় দুই বাংলা। মেলবোর্নের বহু বাঙালি পরিবার সামিল হয় চট্টোপাধ্যায় পরিবারের ওই পুজোতে। নিয়মের ব্যতিক্রমও হয় না কোনও বছর। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পুজো চলে বাড়িতেই। পঞ্জিকা দেখেই হয় সব অনুষ্ঠান। নিজেই পুজো করেন পেশায় চিকিৎসক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
এই কয়েকটা পরিবারের পরিচিতরা প্রত্যেকে বাড়িতে রান্না না করে চলে যান জগন্নাথবাবুর বাড়িতে। সবাই হাত মেলান পুজোর কাজকর্মে। সবাই একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া সেরে যে যার বাড়ি ফেরেন। গৃহকর্ত্রী সন্ধ্যা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কর্মসূত্রে বাংলাদেশ ছেড়ে মেলবোর্ন চলে এসেছেন তাঁরা। তবে আজও বাঙালি সংস্কৃতিতে কোনও ভাটা পড়েনি। আগামী প্রজন্ম যাতে এই রীতি-সংস্কৃতি ভুলে না যায়, তার জন্য হাজার ব্যাস্ততার মধ্যেও এই পুজোর আয়োজন করা হয়।
পরিবারের মেয়ে শুভেচ্ছা চট্টোপাধ্যায় জানান কবে নতুন পঞ্জিকা বেরবে, তার অপেক্ষা চলে বছরভর। নতুন পঞ্জিকা বেরলেই দিনক্ষণ দেখে অফিস ছুটি নিয়ে শুরু হয় পুজোর প্রস্তুতি। এরপর চলে পুজোর কেনাকাটা। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নিষ্ঠাভরে কুমারী পুজো করা হয়েছে। সব নিয়ম মেনেই এবার বিজয়ার পালা।
মেলবোর্নের বাসিন্দা তমরূপা দাশগুপ্ত, সোমালি ভট্টাচার্য, শ্যামশ্রী বসু, রীমা চট্টোপাধ্যায়রা জানিয়েছেন, পুজোর কটা দিন তাঁরা প্রত্যেকে দেশের বাড়ির মতোই আনন্দ করেন এই পুজোয়। এই কয়েকটা দিন তাঁদের বাড়িতে রান্নাবান্না হয় না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুজো, খাওয়া দাওয়া সবটাই হয় এই চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে।