Jalpaiguri: তিস্তা পারে এখনও পুজো, এত সহজে মাকে কি ছাড়া যায়…

Durga Puja: প্রতি বছর এই একদিনের পুজো উপলক্ষে মিলন মেলা হয়। তবে এবার তা সম্ভব হয়নি।

Jalpaiguri: তিস্তা পারে এখনও পুজো, এত সহজে মাকে কি ছাড়া যায়...
পুজো শেষ হয়েও শেষ হয় না তিস্তা পারে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2021 | 10:03 PM

জলপাইগুড়ি: পুজো শেষ হয়েও শেষ হয় না তিস্তা পারে। শারদীয়ার পর ভাণ্ডানী, ভাণ্ডানীর পর এবার সিদ্ধ বাড়ির দুর্গাপুজোয় মাতল জলপাইগুড়ি রংধামালি এলাকার মানুষ।

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অন্তর্গত পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রংধামালির মোড়ল পাড়ায় সিদ্ধ বাড়ির একদিনের দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে রবিবার উৎসব উদ্দীপনা দেখা গেল পরিবারের সদস্য-সহ এলাকার লোকজনের মধ্যে।

এ দিন সকাল থেকেই পুজোর তোড়জোর শুরু হয়ে গিয়েছিল। নিয়ম মেনেই পুজো শেষ করতে হবে বলে একদিকে যেমন নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্য সুশান্ত রায়, ভূপতি রায়েরা। অন্যদিকে করোনা বিধি মানার দায়িত্ব পুরোপুরি নজরে রেখেছিলেন স্থানীয়রা।

প্রতি বছর এই একদিনের পুজো উপলক্ষে মিলন মেলা হয়। তবে এবার তা সম্ভব হয়নি। তবে পাতকাটা, রংধামালি এলাকার বাসিন্দাদের হই হই বিন্দুমাত্র কমেনি। সকাল থেকেই সিদ্ধবাড়িতে অতিথি আনাগোনা।

কথিত আছে ১০০ বছরের বেশি সময় আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো শুরু করেছিলেন এলাকার তৎকালীন জমিদার সিদ্ধিনাথ রায়। সেই সময় আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল থাকায় তাঁর করা এই পুজোর নাম এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল। বংশ পরম্পরায় সে ধারা এখনও ধরে রেখেছে বর্তমান প্রজন্ম। যেহেতু এই পুজো সিদ্ধিনাথবাবুর শুরু করা, সে কারণে বর্তমানে এই পুজো সিদ্ধবাড়ির পুজো বলেই এলাকায় পরিচিত।

এদিন পরিবারের সদস্য সুশান্ত রায় বলেন, “এবার আমাদের পুজো ১০২ বছরে পড়ল। প্রতি বছরই নিষ্ঠা ভরে এই পুজো আমরা করি। লক্ষ্মীপুজোর পর যে রবিবার আসে সেদিনই এই পুজো হয়। খুব আনন্দ করি আমরা। পরিবারের অধিকাংশ লোকজনই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। কিন্তু পুজোর এই একটা দিনের জন্য মুখিয়ে থাকেন সকলেই। সকলে এদিন বাড়িতে এসে আনন্দ করে। একেবারে মিলন মেলা।”

পরিবারের সদস্য অলকা রায়ের চুলের পাক ধরে গেল বাড়ির পুজো দেখতে দেখতে। পুরনো দিনের কথা এখনও মনে রয়েছে তাঁর। অল্প বয়সে এ বাড়ির পুজোয় কেমন মিলে মিশে সকলে মজা করতেন। আগে দু’টো ঘটেও পুজো হয়েছে। সেই কথা অলকা রায় নিজেই শোনালেন।

অলকাদেবী বলেন, “আগে বাবার খুড়তুতো ভাইয়েরা একটা ঘটে পুজো করতেন। আমাদের এখানে ঠাকুরদা একটা পুজো করতেন। গ্রামের সমস্ত মানুষ আসত। বহু দূর থেকে লোকজন আসত। সব বাড়িতেই এ সময় অতিথি চলে আসত। আমাদের বাড়ির পুজো উপলক্ষে বড় মেলা হতো। তা দেখতে কত মানুষের ভিড় হতো। পাড়ায় প্রায় সব বাড়িতেই তখন লোক ভর্তি। এখন তো বলি প্রথা নেই। আগে তা ছিল। কত মানুষ আসত।এমনও হতো মেলার ভিড়ে বাচ্চা হারিয়ে যেত। মাইকে বলে বাচ্চা ফেরানো হতো।”

আরও পড়ুন: Maldah: বর-বউয়ের ঝামেলা, বাচ্চা কার কাছে থাকবে তা নিয়ে সালিশি সভায় ‘মার’ ঠাকুমা-পিসিকে