ডুয়ার্স : গর্ভে ধারণ করে জন্ম দেন মা, তাই সন্তানের প্রতি মায়ের স্নেহের সম্ভবত কোনও তুলনাই হয় না। সন্তানের গায়ে একটা আঁচড় লাগুক, সেটাও হয়ত চান না পৃথিবীর কোনও মা। আর এই কথাটা শুধু মানব সন্তানের জন্য সত্যি নয়। শুক্রবার সকালে ডুয়ার্সের মানুষ যে দৃশ্যের সাক্ষী থাকল, তা যেন সেই সত্যিটাই আরও একবার মনে করিয়ে দিচ্ছে। মৃত সন্তানকে শুঁড়ে জড়িয়ে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পথ হেঁটে চলেছে মা হাতি। কখনও সেই ভার শুঁড়ে নিতে পারছে না, পড়ে যাচ্ছে শাবক। তারপরও এক মুহূর্তের জন্য সন্তানকে ছাড়তে নারাজ সেই হাতী। এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখা গিয়েছে বলে মনে করতে পারছেন ডুয়ার্সবাসী। মর্মান্তিক এই ছবি এলাকার মানুষের চোখে জল এনে দিয়েছে এ দিন।
ডুয়ার্সের রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানে প্রথম চোখে পড়ে সেই দৃশ্য। মা হাতি তার মৃত সন্তানকে শুঁড়ে নিয়ে যাচ্ছে। এমনি মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে হতবাক হন ডুয়ার্সবাসী। পরে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ডুয়ার্সের চুনাভাটি চা বাগানে দু দিন আগে ঢুকে পড়ে একটি হাতির দল। এরপর সম্ভবত শুক্রবার রাতে ওই হস্তিশাবকের মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান মা হাতি শুঁড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে শাবককে। শাবকটি কখনও পড়ে যাচ্ছে। আবার তাকে টেনে তুলে নিচ্ছে মা হাতি। কিছুক্ষণ পর মা হাতিটিকে ক্ষিপ্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় কয়েকজন। তাঁরা দেখেন, বাগানের কাজের জন্য জলের ছোট ট্যাঙ্ক থেকে জল পান করছে মা হাতিটি। এরপর ট্যাঙ্কটিকে তুলে আছাড় মারে সে। এমনকি একটি সাইকেল ধরেও আছাড় মারে। সম্ভবত সন্তান শোকেই সে এমনটা করছিল বলে মনে করছে বন দফতরের কর্মীরা।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা বোঝার দেখেন একটি শাবক হাতি মৃত অবস্থায় রয়েছে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগ ও বানারহাট রেঞ্জের বনকর্মীরা। ঘটনাস্থলে রয়েছেন এডিএও জন্মঞ্জয় পাল, বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগের রেঞ্জার শুভাশিস রায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অন্তত আট কিলোমিটার পথ ওইভাবেই হেঁটে গিয়েছে মা হাতি। এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে থেকে নজরদারি চালাচ্ছেন তাঁরা। মা হাতি শাবককে ছেড়ে যাওয়ার পরই শাবককে উদ্ধার করে পাঠানো হবে ময়নাতদন্তের জন্য। তারপরই শাবকের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে এবং শাবকের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।
ডুয়ার্স : গর্ভে ধারণ করে জন্ম দেন মা, তাই সন্তানের প্রতি মায়ের স্নেহের সম্ভবত কোনও তুলনাই হয় না। সন্তানের গায়ে একটা আঁচড় লাগুক, সেটাও হয়ত চান না পৃথিবীর কোনও মা। আর এই কথাটা শুধু মানব সন্তানের জন্য সত্যি নয়। শুক্রবার সকালে ডুয়ার্সের মানুষ যে দৃশ্যের সাক্ষী থাকল, তা যেন সেই সত্যিটাই আরও একবার মনে করিয়ে দিচ্ছে। মৃত সন্তানকে শুঁড়ে জড়িয়ে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পথ হেঁটে চলেছে মা হাতি। কখনও সেই ভার শুঁড়ে নিতে পারছে না, পড়ে যাচ্ছে শাবক। তারপরও এক মুহূর্তের জন্য সন্তানকে ছাড়তে নারাজ সেই হাতী। এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখা গিয়েছে বলে মনে করতে পারছেন ডুয়ার্সবাসী। মর্মান্তিক এই ছবি এলাকার মানুষের চোখে জল এনে দিয়েছে এ দিন।
ডুয়ার্সের রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানে প্রথম চোখে পড়ে সেই দৃশ্য। মা হাতি তার মৃত সন্তানকে শুঁড়ে নিয়ে যাচ্ছে। এমনি মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে হতবাক হন ডুয়ার্সবাসী। পরে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ডুয়ার্সের চুনাভাটি চা বাগানে দু দিন আগে ঢুকে পড়ে একটি হাতির দল। এরপর সম্ভবত শুক্রবার রাতে ওই হস্তিশাবকের মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান মা হাতি শুঁড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে শাবককে। শাবকটি কখনও পড়ে যাচ্ছে। আবার তাকে টেনে তুলে নিচ্ছে মা হাতি। কিছুক্ষণ পর মা হাতিটিকে ক্ষিপ্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় কয়েকজন। তাঁরা দেখেন, বাগানের কাজের জন্য জলের ছোট ট্যাঙ্ক থেকে জল পান করছে মা হাতিটি। এরপর ট্যাঙ্কটিকে তুলে আছাড় মারে সে। এমনকি একটি সাইকেল ধরেও আছাড় মারে। সম্ভবত সন্তান শোকেই সে এমনটা করছিল বলে মনে করছে বন দফতরের কর্মীরা।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা বোঝার দেখেন একটি শাবক হাতি মৃত অবস্থায় রয়েছে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগ ও বানারহাট রেঞ্জের বনকর্মীরা। ঘটনাস্থলে রয়েছেন এডিএও জন্মঞ্জয় পাল, বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগের রেঞ্জার শুভাশিস রায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অন্তত আট কিলোমিটার পথ ওইভাবেই হেঁটে গিয়েছে মা হাতি। এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে থেকে নজরদারি চালাচ্ছেন তাঁরা। মা হাতি শাবককে ছেড়ে যাওয়ার পরই শাবককে উদ্ধার করে পাঠানো হবে ময়নাতদন্তের জন্য। তারপরই শাবকের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে এবং শাবকের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।