‘উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের আলাদা কোর কমিটি হবে, দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে’, বলেছিলেন দেবাঞ্জন

Debanjan Deb: তৃণমূলের লিগাল সেলের নেতা অত্রি শর্মার স্পষ্ট দাবি, আইএএস পরিচয় দিয়ে দেবাঞ্জন একাধিকবার তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের আলাদা কোর কমিটি হবে, দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে, বলেছিলেন দেবাঞ্জন
ছবি ফেসবুক

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 03, 2021 | 1:32 PM

শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতেও প্রতারণার জাল বিছানোর অভিযোগ দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূলের কোর কমিটি গঠনের নামে প্রতারণা করেছিলেন তিনি। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, বহুবার শিলিগুড়িতে তৃণমূলের কয়েকজন নেতা, ঠিকাদার, চা বাগান মালিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। সেখান থেকে কয়েক কোটি টাকা তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ।

পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে, অন্তত বার দশেক শিলিগুড়িতে গিয়েছেন দেবাঞ্জন। পর্যটন দফতরের মৈনাক ট্যুরিজম লজে তিনি থাকতেন। নিজেকে আএএস বলেই পরিচয় দিতেন। সঙ্গে রাখতেন নিরাপত্তারক্ষীদেরও। দেবাঞ্জনের উত্তরবঙ্গ সফরের অন্যতম কারণ হিসাবে তদন্তে উঠে এসেছে জিটিএ-দুর্নীতির বিষয়। কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকার কাজ ঠিকাদারদের পাইয়ে দেওয়ার কথা নাকি বলেছিলেন তিনি।

শুধু তাই নয়, দেবাঞ্জন নাকি বলেছিলেন রাজ্যের শাসকদলের পদস্থ নেতাদের মত নিয়েই উত্তরবঙ্গে একটি পৃথক কোর কমিটি হবে। সেই কোর কমিটি উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করবে। অভিযোগ, এই টোপকে সামনে রেখেই উত্তরবঙ্গে নিজের জাল পাততে চেয়েছিলেন তিনি। তৃণমূলের লিগাল সেলের নেতা অত্রি শর্মার স্পষ্ট দাবি, আইএএস পরিচয় দিয়ে দেবাঞ্জন একাধিকবার তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

আরও পড়ুন: এক ক্লিকেই দেবাঞ্জনের সব কীর্তিকলাপ 

এ বিষয়ে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “আমি তো এর সত্যতা বিচার করতে পারব না। তবে সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরে আমি উদ্বিগ্ন। সব থেকে বড় কথা যে সরকারি লজে উনি থেকেছেন সেখানে একজন মন্ত্রীর দফতর। মন্ত্রীর দফতরের পাশে তিনি থাকলেন এটা যদি সত্যি হয়, তবে তা খুবই উদ্বেগের। উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত দরকার।”

অন্যদিকে তৃণমূলের লিগাল সেলের নেতা অত্রি শর্মা বলেন, “দেবাঞ্জন এখানে নিয়মিত আসতেন। আমরাও জানতাম উনি বড় আমলা। আইএএস সেক্রেটারি হিসাবেই পরিচয় হয়। উনি বলেছিলেন, উনি এখানে সরকারের নির্দেশেই ঘুরছেন। এখানে চা বাগানগুলি নিয়ে আলাদা কোর কমিটি হবে। এখানকার উন্নয়নের জন্য সল্টলেকে আলাদা অফিসও হচ্ছে। এই অফিস সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট করবে।”