জলপাইগুড়ি: এখনও মর্টার আতঙ্ক তিস্তাপাড়ে। এদিনই ক্রান্তি ব্লকের চাপাডাঙা এলাকায় মর্টার সেল ফেটে মৃতের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক ও আহত পাঁচজনের হাতে ১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন জেলাশাসক শামা পারভিন। অন্যদিকে বর্তমানে নদীতে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা পুলিশ। এদিকে রাত পোহালেই মহালয়া। প্রতিবছর মহালয়ার ভোরে তিস্তায় তর্পণ করা করা রেওয়াজ ছিল জেলার একটা বড় অংশের মানুষের কাছে। কিন্তু, পুলিশি নিষেধাজ্ঞায় এবার তাতে কোপ পড়তে চলেছে। সে কারণেই তিস্তা নদীর বদলে এবার পাড়ার পুকুরে তর্পণ সারবে জলপাইগুড়ি তর্পণ সমিতির সদস্যরা। শুক্রবার রাতে টেলিফোনে এই কথা জানিয়ে দিলেন তর্পণ সমিতির সভাপতি জয়ন্ত চক্রবর্তী।
ফোনে তিনি বলেন, সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পর তিস্তায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এরপর নদী থেকে একদিকে যেমন একের পর এক মৃতদেহ ভেসে এসেছে, তেমনই আবার নদীজুড়ে ছড়িয়ে আছে সেনবাহিনীর অসংখ্য মর্টার সেল। মৃতদেহ এবং মর্টার সেল প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীতে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই এবারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রশাসনের নির্দেশ মেনে তিস্তা নদীতে তর্পণ করব না। বদলে এবার পান্ডা পাড়া কলোনিতে যেই পুকুর রয়েছে আমরা সেখানেই তর্পণ করব।
অন্যদিকে জেলার নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার মর্টার সেল উদ্ধার-উদ্বেগের মধ্যেই আম-আদমিকে সতর্ক করতে জেলা পুলিশের তরফ থেকে চালানো হচ্ছে প্রচার। করা হচ্ছে মাইকিং। বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে পুরো এলাকা স্যানিটাইজ করতে সময় লাগবে। তাই সকলকে বন্যার সময় যে সব এলাকা জলমগ্ন হয়েছিল সেসব এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত কাজকর্মের জন্য নিরাপদ ঘোষণা না করা পর্যন্ত কোনও কার্যক্রম না চালানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’