ময়নাগুড়ি: বানারহাট থেকে জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে দাউদাউ করে জ্বলল এনবিএসটিসির বাস। সোমবার সন্ধেয় ময়নাগুড়ির কাছে হঠাৎ আগুন ধরে যায় যাত্রীবোঝাই ওই বাসটিতে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, বাসের ইঞ্জিন গরম হয়েই এই অঘটন ঘটেছে। কালীপুজোর মরশুমে বাসটি ভিড়ে ঠাসা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে বাস থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেই চালক বাসটিকে থামিয়ে দেন এবং হুড়মুড়িয়ে বাস থেকে নেমে আসেন যাত্রীরা। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলকর্মীরা। আগুন নেভানোর কাজ এখনও চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই।
বাস থেকে নেমে কোনওরকমে রক্ষা পেয়েছেন লোপা দত্ত নামে এক যাত্রী। বানারহাট থেকে বাসে উঠেছিলেন তিনি। যাচ্ছিলেন জলপাইগুড়ি। মহিলার অভিযোগ, বাসটিতে শুরু থেকেই সমস্যা ছিল। বললেন, “বাসের কন্ডাকটর চালককে বলেছিল বাসটি আস্তে চালানোর জন্য। সেই শুনেই সন্দেহ হয়েছিল আমার। মাঝে ধূপগুড়িতে বাস পৌঁছনোর পরই একবার ধোঁয়া বের হচ্ছিল। জ্বালানি তেলের তীব্র গন্ধ আসছিল নাকে।” ওই মহিলা যাত্রীর দাবি, সেই সময় বাস থামিয়ে চালক ও কন্ডাকটর নেমে গিয়েছিল। অনেক্ষণ পর বাস ঠিকঠাক করে আবার চালু করে। এরপর ময়নাগুড়ির কাছে এসে বাস থেকে আবার প্রচুর ধোঁয়া বের হতে শুরু করে বলে দাবি মহিলার।
যাত্রীদের বক্তব্য, কারও প্রাণহানি না হলেও নিজেদের ব্যাগপত্র সকলে বাস থেকে নামাতে পারেননি। তাড়াহুড়ো করে কোনওরকমে বাস থেকে নেমে পড়েন তাঁরা। এই ধরনের ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বাস কেন চালানো হচ্ছিল, সেই প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরা।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কলকাতা থেকে ওড়িশাগামী একটি যাত্রী বোঝাই বাসে আগুন ধরে গিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের মাদপুরের কাছে। সেই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর আজ আবার দাউদাউ করে জ্বলল একটি চলন্ত বাস।