জলপাইগুড়ি: তিস্তায় জলস্ফীতির জের। বেড়েই চলছে দুঃশ্চিন্তা। বিপদের আশঙ্কায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু। মেখলিগঞ্জে নামল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। অপরদিকে জলপাইগুড়ি জেলার সমস্ত স্কুল গুলিকে ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক শ্যামা পারভিন।
জানা যাচ্ছে, পাহাড় থেকে বিপুল পরিমাণ জল নামছে জলপাইগুড়িতে। দুপুর ২টো নাগাদ দোমহনি তিস্তা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে পারে। ফলে জলপাইগুড়ি নিয়ে ক্রমশ তৈরি হচ্ছে উদ্বেগ। কারণ তিস্তায় জল বাড়ার জন্য সমস্ত বাঁধের লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে হুড়মুড়িয়ে জল নেমে আসছে জলপাইগুড়িতে। অপরদিকে, গজোলডোবার জলাধারে জল ছাড়ার পরিমাণ ক্রমশ বাড়ানো হয়েছে। ফলে দুপুর দুটোর পর দোমহনি-মেখলিগঞ্জ ও বাংলাদেশের একাংশের অসংরক্ষিত কিছুস্থান ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মেখলিগঞ্জ সহ ওই এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সিকিমের লোনক হ্রদ ফেটে তিস্তায় হড়পা বান। কার্যত ভেসে গিয়েছে উত্তর সিকিমের একাংশ। ভেসে গিয়েছেন ২৩ জন জওয়ান। তাঁদের এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আরও ২৫ ফুট জলস্তর বাড়বে। এখনই দোতলা বাড়ির ওপর দিয়ে বইছে জল। বর্তমান জলস্তর থেকে আরও ২৫ ফুট জল বাড়লে, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে চলেছে বলে জানিয়েছেন সেনার ইস্টার্ন কমান্ড।