জলপাইগুড়ি: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতোই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর এবং মালদহে। এদিকে ভুটান পাহাড় ও ডুয়ার্সে একটানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বানারহাট, বিন্নাগুরি চামুর্চি এলাকায়। জলমগ্ন হয়ে বিন্নাগুরির বিস্তীর্ণ এলাকা। হাতিনালার জল উপচে ঢুকে পড়ে বিন্নাগুরি এসএম কলোনি, নেতাজি পল্লী এলাকায় জলবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় ১৫০ পরিবার।
আগামী কয়েকদিনও উত্তরবঙ্গে একটানা বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বর্তমানে রাজস্থান থেকে পশ্চিম অসম পর্যন্ত অবস্থান করছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। সেই অক্ষরেখা গিয়েছে বিহার এবং উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে। এর প্রভাবেই জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। যার ফলে চলতি সপ্তাহ জুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। তবে এর মধ্যেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
কোথাও মুষলধারে আবার কোথাও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। মুষলধারে বৃষ্টির জেরে শিলিগুড়ির পুর এলাকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জল জমে গিয়েছে। শীতলাপাড়া ৩ নম্বর পৌর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে জল জমে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। ভ্যাকসিন নিতে এসে জমা জলে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অনেককেই।
জলপাইগুড়িতে রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে বইছে জলের স্রোত। যার ফলে চরম দূর্ভোগে বাসিন্দারা। হাতি নালা জলে ডুবে গিয়েছে। বিন্নাগুড়ি বানারহাট এর প্রায় চা বাগান জলমগ্ন । চা-বাগানের উপর দিয়ে বইছে জলের স্রোত। বিন্নাগুড়ি থেকে হলদিবাড়ি গামী রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক হাঁটু জল। বিন্নাগুড়ি এলাকার অধিকাংশ মানুষের মুখে এদিন ভাত জোটেনি। রান্না ঘরে উনুনই যে জলের তলায় চলে গিয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা নয়না খাতুন, সুশান্ত রায় বলেন, যখন বেশি বৃষ্টি হয় হাতি নালার জল ঢুকে পড়ে এলাকায়। ১৫০টির বেশি বাড়িতে এখন এক হাঁটু জল জমে রয়েছে। প্রশাসনের তরফে কেউ খোঁজ করতে আসেননি। ত্রাণ তো দূরের কথা। অনেকে এখন রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে আছেন।
আরও পড়ুন: জাল টিকার জের! ভ্যাকসিন নেওয়ার অনতিপরেই মৃত্যু অশীতিপর বৃ্দ্ধের
সবমিলিয়ে উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকার মানুষ কার্যত জলবন্দি। বানারহাট থেকে ভুটানগামী যে ইন্দো ভুটান সার্ক সড়ক রয়েছে, পলাশবাড়ী এলাকায় সেই সড়কের উপর দিয়ে প্রায় এক হাঁটু জল বইছে। শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার দামি ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় ঘন্টা খানেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে থেকে রানাঘাট স্টেশনে।