জলপাইগুড়ি: গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান। জাঁকজমক ভাবে চলছিল। নিমন্ত্রিত ছিলেন অনেকে। অনুষ্ঠান শেষ করে রাত্রিবেলা দু’টি গাড়িতে ফিরছিলেন অনেকে। সেই সময় ঘটে গেল বিপত্তি। গাড়ি আটকেই রাত্রিবেলা ছিনতাইয়ের চেষ্টা। মহিলাদের শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ। বাদ গেল না বৃদ্ধারাও। গোটা ঘটনায় আহত ছ’জন।
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি পুরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের ঘটনা। সেখানে মাজারশরিফ এলাকায় নতুন বাড়ি কিনেছেন আমজাদ হোসেন।চলছিল গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে গ্ৰামের বাড়ি থেকে অনেকেই এসেছিলেন। রাতে অনুষ্ঠান শেষে দু’টি গাড়িতে করে গ্ৰামের বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা।
অভিযোগ, সেসময় ধূপগুড়ি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের গিলান্ডি সেতু সংলগ্ন এলাকায় তাঁদের গাড়ি আটকায় জনা দশেক মদ্যপ যুবক। অভিযোগ, পিছনে থাকা গাড়ি থেকে লোকজনকে টেনে হিঁচড়ে নামান হয়। মারধর করা হয়।
সেই সময় সামনে থাকা গাড়িতে ছিলেন আমাজাদ।গাড়ি থেকে নেমে আটকানোর কারণ জানতে চান তিনি। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে মারধর শুরু করলে গাড়িতে থাকা আমজাদের মা, বোন গাড়ি থেকে নেমে আসে। অভিযোগ, তাঁর উপরও চড়াও হন দুষ্কৃতীরা। এরপর স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা এসে তাঁদের ছাড়িয়ে নেন। আহত অবস্থায় ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে আসেন তাঁরা।
রাত্রেই ধূপগুড়ি থানার পুলিশ হাসপাতালে আসে। হাসপাতালে যান স্বয়ং ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে ধূপগুড়ি শহর থেকে ঢিলছেড়া দূরত্বে এই ধরনের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। এই বিষয়ে আমজাদ বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে গৃহ প্রবেশের অনুষ্ঠান ছিল। রাত্রি হয়ে যায়। তারপর দু’টি গাড়িতে চড়ে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় হঠাৎ আমাদের পিছনের গাড়ি দাঁড় করায় কয়েকজন। তারপর সেখানে থাকা মহিলাদের সঙ্গে অভব্যতা কয়েকজন। শ্লীলতাহানি করা হয় তাঁদের। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে আমাদের।’