জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গে ফের বড় সাফল্য বন দফতরের (Forest Department)। প্রচুর পরিমাণে সেগুন কাঠ পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল একদল পাচারকারী। কিন্তু বন দফতরের সজাগ নজরদারিতে ভেস্তে গেল সেই পাচারের পরিকল্পনা। বনকর্মীদের তাড়া খেয়ে চোরাই সেগুন কাঠ ফেলে রেখেই পালাল পাচারকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়ির ডায়না রেঞ্জে। সেখানে সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নাগরাকাটা ঘাসমারি বস্তি এলাকা দিয়ে চোরাই কাঠ পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল একদল পাচারকারী। গোপন সূত্র মারফত বন দফতরের কর্মীদের কাছে আগেভাগেই খবর ছিল। সেই মতো গতকাল (মঙ্গলবার) গভীর রাতে নাগরাকাটা ঘাসমারি বস্তি এলাকায় এক অভিযান চালান বন দফতরের ডায়না রেঞ্জের অফিসাররা। অভিযানে সঙ্গ দিয়েছিলেন এসএসবি জওয়ানরাও।
একটি পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল চোরাই কাঠ। সন্দেহ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরের কর্মীরা ও এসএসবির জওয়ানরা ওই পিকআপ ভ্যানটিকে ধাওয়া করেন। বনকর্মীরা ধাওয়া করতেই কিছু দূর এগিয়ে পিক আপ ভ্যান ফেলে রেখে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। ফলে ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রচুর পরিমাণে চোরাই কাঠ উদ্ধার করেছে বন দফতর। সব মিলিয়ে ৩৫ টি সেগুন কাঠের লগ পাওয়া গিয়েছে পিক আপ ভ্যান থেকে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২ লাখ টাকারও বেশি।
প্রাথমিকভাবে বনদফতরের অনুমান, ওই কাঠগুলি পাচারের জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বনকর্মীরা ইতিমধ্যেই ওই চোরাই কাঠের পাচারকারীদের খোঁজ শুরু করেছে। ডায়নার রেঞ্জার অশেষ পাল জানিয়েছেন, এই পাচারের কারবারের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, তাদের চিহ্নিত করা হবে। এই ধরনের অভিযান আগামী দিনেও একইভাবে চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। চোরাই কাঠ পাচারের সঙ্গে যুক্ত কাউকে যে রেয়াত করা হবে না, সেই বার্তাও দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ দিয়ে চোরাই কাঠ পাচারের চেষ্টার খবর এর আগেও একাধিকবার উঠে এসেছে। তবে বনকর্মীদের সতর্ক নজরদারির ফলে পাচারের অধিকাংশ ছকই বানচাল হয়ে গিয়েছে।