জলপাইগুড়ি: সামনেই পৌষ পার্বণ। বাংলার ঘরে ঘরে নানা রকমের, নানা স্বাদের পিঠে তৈরির তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন মা-ঠাকুমারা। রীতিমতো উৎসবের মেজাজ। পিঠে তৈরির মূল উপকরণ আতপ চালের গুড়ো। সেই আতপ চাল নিয়েই কালোবাজারি? অভিযোগ, পিঠে পার্বনের সময়টাকে কাজে লাগিয়ে কম দামে রেশনের আতপ চাল কিনে ফেলেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যাবসায়ী। তারপরই সেই আতপ চালের গুড়ো তৈরি করে চড়া দামে বিক্রি করা হয়। তারাই এখন থেকে গ্রামেগঞ্জে গিয়ে কম দামে রেশনের আতপ চাল কিনে নিচ্ছেন। এই ছবিই দেখা গেল জলপাইগুড়িতে। কম দামে রেশনের আতপ চাল কিনে টোটোতে বোঝাই করছিলেন এক অসাধু ব্যবসায়ী। ক্যামেরা দেখে মাঙ্কি টুপি দিয়ে মুখ ঢেকে ভাগা রাম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ এই দৃশ্য দেখা গেল জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড় পুর গ্রামপঞ্চায়েতের পাতকাটা এলাকায়। দেখা গেল এক ব্যাক্তি টোটো নিয়ে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে কম দামে রেশনের আতপ চাল কিনছেন। তার নাম কী, কোথা থেকে এই রেশনের চাল কিনলেন তা জিজ্ঞেস করতেই পালিয়ে গেলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা অপর্না মিত্র বলছেন, রেশনে আতপ চাল দেয়। ওই আতপ চাল খাওয়া যায় না। তাই বিক্রি করে ওই টাকা দিয়ে সেদ্ধ চাল কিনি। আমরা চাই রেশনে সেদ্ধ চাল দিক।
সন্তোষ জোশি নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার গলাতেও একই সুর। বলছেন, আতপ চাল খাওয়া মুশকিল। তাই আতপ চাল বিক্রি করে দেওয়া হয়। এরা এই চাল নিয়ে গিয়ে চালের গুড়ো করে। কেউ আবার হাঁড়িয়া বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দেয়। রেশনে সিদ্ধ চাল দিলে ভাল হয়।
ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল মহকুমা খাদ্য নিয়ামক শুভাশিস বায়েনের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, উপভোক্তার ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলার পর তাকে রেশন দেওয়া হয়। এবার সেই রেশন নিয়ে গিয়ে যদি তিনি বাজারে বিক্রি করে দেন তবে তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ওই এলাকায় চলতি মাসের রেশনের মাধ্যমে সিদ্ধ চাল দেওয়া হয়েছে বলেও জানাচ্ছেন তিনি। তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের ঠেকানো হবে কী ভাবে? তিনি বলেন, বিষয়টি আমি বিডিওকে জানিয়েছি। এই জাতীয় কাজ বন্ধ করতে আমরা ওই এলাকায় সচেতনতা প্রচার চালাব। সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।