AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: বামেদের মিছিলে সামিল তৃণমূলের কর্মী! বলছেন, ‘আমাদের পক্ষে যে কথা বলবে তার পাশে থাকব’

রাজ্য সরকারের নতুন টোটো রেজিস্ট্রেশন নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন টোটো চালকরা। শুক্রবার দুপুরে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ বিডিও অফিস ঘেরাও করে তীব্র বিক্ষোভ শুরু করেন ই-রিকশা চালক ইউনিয়নের (সিআইটিইউ) কর্মীরা। আর তাতেই সামিল হন আইএনটিটিইউসি কর্মীরা।

Jalpaiguri: বামেদের মিছিলে সামিল তৃণমূলের কর্মী! বলছেন, 'আমাদের পক্ষে যে কথা বলবে তার পাশে থাকব'
সিটুর মিছিলImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2025 | 7:49 AM
Share

জলপাইগুড়ি: সিপিএমের মিছিলে সামিল তৃণমূল নেতা-কর্মীরা! ধামাচাপা দিতে তৎপর তৃনমূল নেতা। পেট কি আর মানে রাজনৈতিক ভেদাভেদ? তাই পেটের লড়াইয়ের টানে এক হয়ে গেল দুই দল। বামেদের শ্রমিক সংগঠন সিটু (CITU)-র মিছিলে সামিল হলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা- কর্মীরা। নতুন টোটো রেজিষ্ট্রেশন ফি কেন নেওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখায় সিটু (CITU)। আর সেই বিক্ষোভ মিছিলে সামিল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি (INTTUC)-র সদস্যরা। চাঞ্চল্য ছড়াল রাজনৈতিক মহলে।

রাজ্য সরকারের নতুন টোটো রেজিস্ট্রেশন নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন টোটো চালকরা। শুক্রবার দুপুরে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ বিডিও অফিস ঘেরাও করে তীব্র বিক্ষোভ শুরু করেন ই-রিকশা চালক ইউনিয়নের (সিআইটিইউ) কর্মীরা। প্রথমে বিডিও অফিসের সামনে স্লোগান চলে। তারপর অফিসে ঢোকার অনুমতি না মেলায় বিক্ষোভ আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর টোটো চালকরা পথ অবরোধ করে রাস্তায় বসে পড়েন।

বিডিও অফিস চত্বরে টানা স্লোগানে থমকে যায় প্রশাসনিক কাজ। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শেষমেশ ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল জয়েন্ট বিডিও-র কাছে ডেপুটেশন জমা দেয়। তবে তৃণমূলের সংগঠনের সদস্যরা হাজির হওয়ায় অনেকেই অবাক। INTTUC-র নেতা-কর্মীদের সাফ কথা, “আমরা এই নির্দেশিকা মানছি না। আমাদের পক্ষে যে কথা বলবে আমরা তাদের পাশে থাকব।” 

টোটো চালকদের মোট ছ’দফা দাবি ছিল এদিন। দাবিগুলি হল, ই-রিক্সা (টোটো) চালকদের সরকারি স্বীকৃতি ও সামাজিক মর্যাদা প্রদান করতে হবে। টোটো ও ই-রিক্সার মধ্যে আর কোনও ভেদাভেদ থাকবে না। TTEN পোর্টালের মাধ্যমে এককালীন সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় সব গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। শোরুম থেকে বাহন পোর্টালের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা আরও কমপক্ষে ৫ মাস বৃদ্ধি করতে হবে। নতুন টোটো কেনার জন্য ভর্তুকিযুক্ত সহজ সরকারি ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।