জলপাইগুড়ি: হোমে এক আবাসিক কিশোরের আস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র উত্তেজনা ছড়ায় জলপাইগুড়ি পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডে। পরিস্থিতি সামাল দিতে যান পুলিশের পদস্থ অধিকারিকরা। পরে পুলিশ পাহারায় দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হবে। জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার টাপুর হাট এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরের নাম লাবু ইসলাম। এক বছর আগে মাদক সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে জলপাইগুড়ি কোরক হোমের ( C C L) চাইল্ড কনফ্লিক্ট উইথ ল বিভাগের আবাসিক হয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হোমের একটি ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, মৃত্যুর কোনও খবর তাঁদের দেওয়া হয়নি। টেলিফোনে অসুস্থতার খবর দেওয়া হয়েছিল। এর পরে হোমে আসার পরেও তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। হোমের গেটে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখার পরেও কিছু জানান পর্যন্ত হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। অপরদিকে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পরতেই কোরক হোমের গেটের বাইরে আশপাশের লোকেরা জমায়েত হতে থাকে। শুধু তাই নয়, ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে উত্তেজিত লোকেরা হোমের প্রধান গেটে ঠেলেই ভেতরে ঢুকে পড়ে। এর হোমের যে ভবনে এই ঘটনা, সেই ভবেনের ঢোকার জন্যও গেটেও ঠেলাঠেলি করতে থাকেন তাঁরা।
এই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি সমীর পাল। আসেন আইসি অর্ঘ্য সরকার সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁরা উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন, ওই কিশোর মাদক নেশার চিকিৎসা করাতে এখানে আসেন। এর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর আধিকারিকরা যান। এরপর বিষয়টি মানবাধিকার-সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরকে জানানো হয়েছে।
ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সমীর পাল বলেন, “জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গাইড লাইন মেনে সবকিছু করা হবে। এই কিশোর সিসিএল ছিল। আজ তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ গিয়ে তদন্ত করেছে। তারপর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” শনিবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহের ময়নাতদন্ত হবে।