জলপাইগুড়ি: রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পাথর বোঝাই লরির পিছনে ধাক্কা মারল অন্য লরি। তাতে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। বুধবার সাত সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ এর ধূপগুড়ি- গয়েরকাটার মাঝে গোসাইরমাহাট এলাকায়। মৃতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গভীর রাত থেকে একটি দশ চাকা পাথরবোঝাই লরি এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮-এর গোসাইরহাট এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল। বুধবার আনুমানিক ভোর পাঁচটা নাগাদ একটি লরি সেই পাথর বোঝাই লরিটির পিছনে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারার পর পাথরবোঝাই লরিটি যেমন বেশ কিছুটা জায়গা এগিয়ে যায়। তেমনি অপর লরিটির সামনের অংশ রীতিমতো দুমড়ে মুছড়ে যায়।
গাড়ির ভিতরে আটকে পড়েন খালাসি। এদিকে শব্দ শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানা এবং দমকল বাহিনীর কর্মীদের। দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িটিকে কেটে খালাসিকে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় লরি থেকে খালাসিকে বের করেন এবং তাঁকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে বর্ষার সময় যখন নদী থেকে পাথর, বালি তোলা নিষেধ, তখন পাথর বোঝাই গাড়িটি কোথা থেকে এল? গাড়িটির কি বৈধ কাগজপত্র ছিল? ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি এখনও সরকারি নির্দেশকে অমান্য করে নদী থেকে পাথর, বালি তোলা হচ্ছে এই সমস্ত প্রশ্ন কিন্তু উঠতে শুরু করেছে?
উল্লেখ্য, এক বছর আগে ধূপগুড়ি লাল স্কুল এলাকায় পাথরবোঝাই লরির সঙ্গে বিয়ে বাড়ির গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে, তাতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এরপরে কিছুদিন গোটা জেলা জুড়ে চলে পুলিশি নজরদারি। এমনকি রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড়ানো নিয়েও কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। কিছুদিন যেতে না যেতে সেই একই ছবি ফিরে এসেছে শহরে, যার বলি হতে হল আরও এক জনকে।