জলপাইগুড়ি: দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে বচসা। প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন বাবা। বাবাকেই কিল, চড়, ঘুষি মারার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ওই ব্যক্তি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ধূপগুড়ি ব্লকের আংড়াভাসা ধীরেন দোকান এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি ব্লকের আংড়াভাসা ধীরেন দোকান এলাকার বাসিন্দা রতন সরকারের তিন ছেলে। লকডাউনের আগে রতনের লটারির দোকান ও চপের দোকান ছিল। কিন্তু লকডাউনের সময় দোকান বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি দিনমজুরির কাজ করেন। রতনের মেজ ছেলে সুজিত সরকার কোনও কাজ কর্ম করেন না।
জানা যাচ্ছে, টাকা চেয়ে মাঝেমধ্যেই পরিবারের ওপর চাপ তৈরি করতেন সুজিত। শুক্রবার রাত ১১ টা নাগাদ সুজিত ঝগড়া শুরু করেন তাঁর মা ও দাদুর সঙ্গে। সে সময় বাবা রতন প্রতিবাদ করতে গেলে হঠাৎ সুজিত তাঁর বাবাকে মারধর শুরু করেন। আচমকা লাথি ঘুষিতে বেকায়দায় পড়ে যান রতন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা ও এক ছেলে তাঁকে ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বর্তমানে ধূপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। রাতেই পুলিশ হাসপাতালে যায়। রতনের থেকে সব বিষয়টি শুনেছে পুলিশ।