জলপাইগুড়ি: টালির চালের বাড়ি, দেওয়াল ইট গাঁথা। তিনি যোগ্য, তালিকায় তাঁর নামও রয়েছে। তবুও আবাস যোজনার ঘর ফেরালেন হড়পা বান বিপর্যয়ের মানুষকে বাঁচিয়ে হিরো মহম্মদ মানিক। সাধুবাদ বিডিওর। আবাস যোজনার ঘর ফিরিয়ে দিলেন মাল নদীর ঘাটে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের দিন হড়পা বান বিপর্যয়ে নদীতে ভেসে যেতে খাওয়া মানুষকে বাঁচিয়ে রাতারাতি হিরো হয়ে ওঠে মহম্মদ মানিক। তার জন্য আগেই মুখ্যমন্ত্রীর থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের তালিকায় তাঁর নাম থাকা সত্ত্বেও সেই ঘর গরিব মানুষদের উদ্দেশ্যে ফিরিয়ে দিলেন তিনি।
তাঁর এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রশংসা করেছেন মালের বিডিও শুভজিত দাশগুপ্ত। মহম্মদ মানিক বর্তমানে মালবাজার তথা আশপাশ এলাকায় এক পরিচিত নাম। গত ৫ অক্টোবর ছিল দশমী। সেই দিন রাতে মাল নদীতে আচমকা হড়পা বানে ভেসে গিয়েছিলেন অনেকে। সরকারি মতে মৃত্যু হয়েছিল ৮ জনের, আহত হয়েছিলেন ১৩জন। পুজোর আবহে আকস্মিক এই ঘটনায় শোকের আবহ তৈরি হয়েছিল। সেদিন হড়পা বানে নিজের জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন জলে। বেশ কয়েকজনকে টেনে নদীর পাড়ে নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর এই অনন্য কাজে সবাই অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মালবাজার শহরে গিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। সেই মানিক সোমবার আবার এক দৃষ্টান্ত দেখালেন। নিজে মাল পঞ্চায়েত সমিতি দফতরে এসে বিডিও কাছে লিখিত ভাবে জানিয়ে যান তাঁর নামে বরাদ্দকৃত ঘর তিনি নিচ্ছেন না।
মহম্মদ মানিকের বক্তব্য, “আমার থাকবার মতো ঘর আছে। এই মুহূর্তে আমার ঘরের দরকার নাই, তাই ফিরিয়ে দিলাম।” সাহসী এই যুবককে সাধুবাদ দিয়েছেন মালের বিডিও শুভজিত দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, “এই কাজকে আমরা সাধুবাদ জানিয়েছি। খুবই ভালো কাজ করেছে এই যুবক।”