জলপাইগুড়ি: পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের ভাইয়ের বউয়ের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায়। বিধায়কের দাবি, এর পিছনে বিরোধীদের চক্রান্ত রয়েছে। শুরু রাজনৈতিক চাপান উতর। জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। রাজগঞ্জের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতিলা ভাষায় বিধায়কের বাড়ি। জানা যাচ্ছে, তাঁর বাড়ির পাশেই পাকা বাড়ি রয়েছে ছোটভাই বিনয়কৃষ্ণ রায়ের। কয়েক বছর আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, সেই ভাইয়ের স্ত্রী চিত্রা রায়ের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে। অভিযোগ, চিত্রাদেবীর দুই ছেলেই সরকারি চাকুরিজীবী। ছাদওয়ালা পাকা বাড়ি রয়েছে তাঁর। তারপরও কেন আবাস যোজনায় নাম? প্রশ্ন তুলে রীতিমতো ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে চিত্রাদেবীর অবশ্য দাবি, সম্প্রতি যে সমীক্ষা হয়েছে,তাতে তিনি নাম বাদ দেওয়ার আবেদেন জানিয়েছেন সমীক্ষক দলের কাছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, যখন নাম উঠেছিল তখন পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে, প্রয়োজন নেই। তাই নাম বাদ দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
যদিও ভাইয়ের বউয়ের নাম তালিকায় থাকা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিধায়ক খগেশ্বর রায়। তাঁর দাবি, ওই এলাকার এবং আশপাশের এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যরা বিজেপি দলের। তাঁরাই তাঁকে এবং তৃণমূলকে বদনাম করতে চক্রান্ত করে ভাইয়ের বউয়ের নাম তালিকায় ঢুকিয়েছে।
ঘটনায় পালটা তোপ দেগেছেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী। তাঁর দাবি মিথ্যে কথা বলছেন খগেশ্বর রায়। রাজগঞ্জ বিধানসভা থেকে পঞ্চায়েত সমিত সব তৃণমূলের দখলে। তারপর বিজেপির পক্ষে সম্ভব এই তালিকা প্রস্তুত করা? আসলে নিজেরা এখন ফেঁসে গিয়েছেন। তাই বিজেপির ওপর দোষ চাপিয়ে পার পেতে চাইছেন। বিধায়কের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তিনি। তিনি এই ঘটনায় এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।