Jalpaiguri: পাঁঠার মাংসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খুন ১২ সারমেয়, জামিনযোগ্য ধারায় রুজু মামলা
Jalpaiguri: খবর পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে একটি পশু প্রেমী সংগঠনের সম্পাদক অর্কপ্রভ মজুমদার। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে গ্রামে যায় পুলিশ। এরপর পশু প্রেমী সংগঠনের সহায়তায় দু'টি সারমেয়র দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।

জলপাইগুড়ি: বিষপ্রয়োগে মৃত সারমেয়দের দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হল। ভিসেরা পাঠানো হল ফরেন্সিক বিভাগে। অপরদিকে, এখনও গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত। জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করায় হতাশ পশুপ্রেমী সংগঠনের কর্মীরা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগুড়ি মোহিত নগর অঞ্চলের বুবিপাড়া গ্রাম থেকে একাধিক মৃত সারমেয়র দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল দাসের একটি পোষ্য ছাগল পথ কুকুরের কামড়ে মারা যায়। তার প্রতিশোধ নিতে ওই মৃত ছাগলটিকে কেটে তার মাংসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই বিষাক্ত মাংস খেয়ে একে একে ১২ টি কুকুর মারা যায়।
খবর পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে একটি পশু প্রেমী সংগঠনের সম্পাদক অর্কপ্রভ মজুমদার। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে গ্রামে যায় পুলিশ। এরপর পশু প্রেমী সংগঠনের সহায়তায় দু’টি সারমেয়র দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।
গতকাল স্বাধীনতা দিবস ও আজ জন্মাষ্টমীর ছুটি থাকায় জলপাইগুড়ি পশু হাসপাতাল বন্ধ ছিল। উপযুক্ত সংরক্ষণের পরিকাঠামো না থাকায় মৃত সারমেয়র দেহে পচন শুরু হয়। পরে সেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুরোধে দুই পশু চিকিৎসক সাড়া দেন। এরপর শনিবার কোতোয়ালি থানার পুলিশের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ভিসেরা ও দেহ পুলিশের হাতে তুলে দেন পশু চিকিৎসকরা।
অর্কপ্রভ মজুমদার বলেন, “আইন না থাকায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ জামিন যোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে। এই জাতীয় নির্মম হত্যাকাণ্ড ঠেকাতে আরও কঠিন আইন হওয়া দরকার।” পশু সহায়তা কেন্দ্রের সম্পাদক প্রীতম দাস বলেন, “৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি। আমরা চাই দ্রুত গ্রেফতার হোক। পাশাপাশি ছুটির দিনেও যেভাবে দুই পশু চিকিৎসক এগিয়ে এসে ময়নাতদন্ত করল আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পলাতক। তাকে ধরতে তল্লাশি জারি রয়েছে।

