জলপাইগুড়ি: বিয়ের আর মাত্র সাত দিন বাকি ছিল। প্রস্তুতি সবই সারা। কেনাকাটা শেষ। শুধু টুকটাক কয়েকটা কাজ, নিমন্ত্রণ- এসব বাকি ছিল। সেগুলিই বাইকে বেরিয়ে সারছিলেন পাত্র। কিন্তু পথেই সব শেষ। একটা ছোটো গাড়ি, একটা বাইক, রেষারেষি আর সব শেষ! বিয়ের ঠিক ৭ দিন আগেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল পাত্রের। মর্মান্তিক ঘটনা রাজগঞ্জের জলাপাড়া গ্রামে। বছর তিরিশের পরিমল রায় ওই এলাকারই বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাশের গ্রামেই তাঁর বিয়ে ঠিক ছিল। ঠিক এক সপ্তাহ পরই ছিল তাঁর বিয়ে। শুক্রবার বাইকে কিছু কাজ করতে বেরিয়েছিলেন। সেখান থেকেই বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার কিছু সময় আগেও বাড়িতে মোবাইলে কথা হয় তাঁর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, পরিমল নির্দিষ্ট দিক থেকেই বাইকে যাচ্ছিলেন। পিছন থেকে আসছিল একটা ছোটো গাড়ি। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরেই রেষারেষি চলছিল। পরিমল ছোটো গাড়িকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ছোটো গাড়িটি পাশ দিতে না পারাতেই দুর্ঘটনা।
পরিমল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারেন। বাইক থেকে অনেকটা দূরে ছিটকে পড়েন পরিমল। তাঁর মাথাতে হেলমেটও ছিল না। মাথায় মারাত্মক চোট লাগে তাঁর। অতিরিক্ত রক্ত বের হতে থাকে। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় পরিমলের।
স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে, পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “ফাঁকা রাস্তায় রেষারেষি আজকের কথা নয়। দুই গাড়ির মধ্যে রেষারেষি চলছিলই। আমরা সেটা খেয়ালও করেছিলাম। এরপর যুবকটি ছোটো গাড়িকে পাশ কাটানোর জন্য আরও গতি বাড়িয়ে দেন। তাতেই বোধহয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ”
আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতন করা হয় বটে তবে এই রাস্তায় সেইভাবে কোনও নজরদারি নেই। চালকদের নিজেদেরই সচেতন থাকাটা প্রয়োজন। তাও মাঝেমধ্যেই এই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটে। রোগ সেই ওভারটেক।”
পরিমলের মৃত্যুর খবরে দুই পরিবারই বাকরুদ্ধ। গোটা গ্রামে শোকের ছায়া।
আরও পড়ুন: Weather Update: শহরে বাড়ল তাপমাত্রা, আজ থেকেই বৃষ্টি! কোন কোন জেলায় জেনে নিন
আরও পড়ুন: Road Accident: রাতের কলকাতায় ফিরল গন্ধ বিচার! আবারও ব্রেথ অ্যানালাইজারের ব্যবহার শুরু