জলপাইগুড়ি : নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুতে তোলপাড় হচ্ছে গোটা রাজ্য। গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এরই মধ্যে রাজ্যের শাসক দলের উপর চাপ আরও বাড়াচ্ছে পদ্ম শিবির। জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী অভিযোগ করেন, এমন লোকও আছেন, যিনি বছর তিনেক আগে নিয়োগ পেয়ে গিয়েছেন, চাকরিও করছেন। অথচ তাঁর চাকরির জন্য ভেরিফিকেশন হয়েছে মাস তিনেক আগে। এই সংক্রান্ত তথ্যও তাঁদের কাছে রয়েছে বলে জানান বিজেপির জেলা সভাপতি। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি রাজ্যের শাসক শিবিরের উপর আক্রমণের সুর চড়িয়ে তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আগামী দিনে আদালতেও যাবেন।
তৃণমূলের অন্দরে স্বজন পোষণের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি, কেউ জেলা পরিষদের সঙ্গে যুক্ত, কেউ পঞ্চায়েত প্রধান, কেউ পঞ্চায়েতের সদস্য বা কেউ তৃণমূলের নেতা… তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন। যাঁদের ভেরিফিকেশন হয়নি, তাঁরাও জয়েন করেছেন। এমন তথ্য আমাদের কাছে আছে।” তৃণমূলের রাজত্বকালে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন, সেই তালিকা রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। বিজেপি জেলা সভাপতির দাবি, এই বিষয় নিয়ে সিবিআই তদন্ত করুক। তিনি সরাসরি অভিযোগ তোলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারি সভাধিপতি, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলার থেকে অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে হাসপাতালে নিয়োগ, সমবায় ব্যাঙ্কে নিয়োগ, পৌরসভার আর্থিক তছরুপ… সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে।
যদিও বিষয়ি নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ। তাঁর বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সততার প্রতীক। তাঁর ভাবমূর্তিতে কালি ছেটানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। গতকাল নেত্রী বলেছেন, যত বড় মাপের নেতাই হোক, যদি আদালতে প্রমাণ হয়, শাস্তি পাবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন।” আগামী দিনে বিজেপির ‘মুখোশ’ খুলে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।