জলপাইগুড়ি: ফের লোকালয়ে দলছুট হাতির তাণ্ডব। হাতি তাড়াতে গিয়ে আহত হয়েছেন তিন বন কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে বানারহাট থানার অন্তর্গত কলাবাড়ি চা বাগান এলাকায়। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে পাশের তোতাপাড়া জঙ্গল থেকে দল ছুট দুটি হাতি কলাবাড়ি চা বাগানে ঢুকে পড়ে। সকাল বেলা শ্রমিকরা ঘুম থেকে উঠে হাতি দুটিকে দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় ডায়না রেঞ্জের বন কর্মীদের এবং বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মীদের। খবর পেয়ে ছুটে যান বন কর্মীরা।
এদিকে বন কর্মীরা এলাকায় পৌঁছানোর আগে একটি হাতি জঙ্গলে ফিরে যায়। একটি জঙ্গলে ফিরে যায়। অন্যটি চা বাগানের মধ্যেই দাপিয়ে বেড়াতে থাকে। হাতি গ্রামে ঢুকেছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রচুর মানুষ বাগানে ভিড় জমান। মানুষ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয় বন কর্মীদের। ডাকা হয় বানারহাট থানা পুলিশকে। মানুষের হই হট্টগোলে হাতি চা বাগানের এক প্রান্ত থেকে অন্য পন্তে ছোটাছুটি শুরু করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হন বনকর্মীরাও। হামলার আহত হন তিন বন কর্মী। বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডে দুই কর্মী টলমল রায় ও গৌতম কুমার রায় হাতির হামলায় আহত হন। আহত হন ডায়না রেঞ্জে বনকর্মী কুনাল রায়ও। তাঁদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।
বনকর্মী এবং পুলিশ উৎসাহী জনতাকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। ডাকা হয় বাড়তি পুলিশ বাহিনী। বর্তমানে দলছুট হাতিটি চা বাগানে ২৬ নম্বর সেকশনে রয়েছে বলে খবর।
জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী বিভাগের সহকারি বন আধিকারিক রাজীব দে বলেন, “হাতিটি এখনও বাগানের মধ্যে রয়েছে , চারপাশে প্রচুর মানুষ ভিড় করে থাকায় বণকর্মীদের সমস্যা হচ্ছে। এখনও হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরানো সম্ভব হয়নি। বনকর্মীরা হাতিটিকে পাহারা দিয়ে রেখেছেন। মানুষের থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখার চেষ্টা করছেন।” তিনজন বনকর্মী হাতির হামলায় আহত হয়েছেন। তাঁদের মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।