জলপাইগুড়ি: সীমান্তের পাশ দিয়ে ঘুরছিলেন তাঁরা। চোখেমুখে একটা অস্বস্তি ভাব ছিল। সেটা দেখেই সন্দেহ হয়। আর প্রশ্ন করতেই উত্তর শুনে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। ২ নাবালিকা সমেত মোট ৪ জন বাংলাদেশি মহিলা পাচারের চেষ্টার অভিযোগ। ত ভারতীয়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার কর্তারা অভিযুক্তদের হাতেনাতে পাকড়াও করেন।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালান তাঁরা। এই ঘটনায় মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে।
শুক্রবার বিএসএফ-এর রাধা বাড়ি সেক্টর হেড কোয়ার্টার থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার বিএসএফ-এর ১৫ নং ব্যাটেলিয়ন অধীন পাঠান পাড়া বিওপি গোয়েন্দা শাখার কাছে খবর আসে কয়েকজন বাংলাদেশি মহিলা অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার করে ভারতে ঢুকেছে।
অনুপ্রবেশের খবর পেয়েই অভিযান চালান তদন্তকারীরা। ভারতের ৩ জন যুবক অনুপ্রবেশে সাহায্য করছিল। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে মোট সাত জনকেই ধরে ফেলেন বিএসএফ জওয়ানরা।
জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে বাড়ি চার জনের। তাদের মধ্যে ২ জন নাবালিকা। মুম্বইতে তারা নাকি কাজের খোঁজে যাচ্ছিলেন। অবৈধ উপায়ে তারা বাংলাদেশে থেকে ভারতে ঢুকে, এখান থেকে মুম্বইতে পাড়ি দিচ্ছিল তারা। শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃতদের শনিবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই মহিলাদের পাচার করে দেওয়া হচ্ছিল। এর পিছনে একটা চক্র কাজ করছে। মুম্বইতে ঠিক কোথায় তাদের পাঠানো হচ্ছিল, তা খোঁজ নিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আদৌ তাঁদের দিয়ে যৌন ব্যবসায় লাগানো হত নাকি অন্য কোনও হোটেল-বারে কাজে লাগানো হত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।