জলপাইগুড়ি: প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন স্বামী। অতঃপর প্রেমিকের ওপর চলে উত্তম মধ্যম। আর এদিকে স্বামীর হাত থেকে প্রেমিককে বাঁচাতে আর্তনাদ, প্রেমিককে বাঁচাতে জাতীয় সড়কেরই এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে বেরান মহিলার। টোটো থামিয়ে প্রেমিককে বাঁচানোর চেষ্টাও করেন। জাতীয় সড়ক জুড়ে দৌড়ে বেরাচ্ছেন মহিলা, তাঁর পিছনে আরও কয়েক জন লোক। সব মিলিয়ে একটা গোলমাল পরিস্থিতি। জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে চলা গাড়ির চালকরা কিছু ঠাওরই করতে পারছিলেন না হচ্ছেটা কী! দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক গাড়ি। গোটা কাণ্ডে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। স্ত্রী এখন হাতের বাইরে, বুঝতে পেরে শেষমেশ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মন্দিরে প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দিলেন স্বামী। তুলে দিলেন প্রেমিকের হাতে। শোরগোল ধূপগুড়িতে, গোটা ঘটনায় তাজ্জব জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়া যাত্রীরা।
ধূপগুড়ি পৌরসভা ১৫ নম্বর ওয়ার্ড গোবিন্দপল্লি এলাকার এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ওঁত পেতে থাকেন স্বামী। রবিবার রাতে হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই যুবক। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আর প্রেমিককে বাঁচাতেই আপ্রাণ চেষ্টা করেন প্রেমিকা।
এরপরেই এলাকাবাসী এবং মহিলার স্বামী যুবককে ধরে নিয়ে যান মায়ের থান কালী মন্দিরে। স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর তা ঘিরেই শুরু হয় উত্তেজনা। জাতীয় সড়কে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছোটাছুটি করতে থাকেন ওই মহিলা। চলে মারপিট। থমকে যায় জাতীয় সড়কে যান চলাচল। রাস্তার উপর জমে যায় ভিড়।
এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দা এবং মহিলার স্বামী দু’জনকে ধরে এক কালী মন্দিরে নিয়ে যান। সেখানেই গ্রাম বাসীদের উপস্থিতিতে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অবাকের বিষয় গোটা ঘটনায় কোথাও পুলিশের কোনও দেখা মেলেনি। এক্ষেত্রেও গ্রামবাসীরা রীতিমতো ‘আদালত’ বসিয়েই বিয়ে দিয়ে দেন।