Durga Puja: ৫০ জন ‘নাতনি’কে নিয়ে পুুজোয় ঘুরতে বেরোলেন ‘দাদু’

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Oct 02, 2022 | 6:40 PM

Durga Puja 2022: জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি বলে কথা। কাজের ব্যস্ততা তো রয়েছেই। কিন্তু তার মধ্যেও প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল-বিকেল দুই বেলা সেখানে যান তিনি।

Durga Puja: ৫০ জন নাতনিকে নিয়ে পুুজোয় ঘুরতে বেরোলেন দাদু
৫০ 'নাতনি'কে নিয়ে পুজোয় বেরোলেন 'দাদু'

Follow Us

জলপাইগুড়ি: ওদের ঠিকানা বলতে জলপাইগুড়ি শহরের ওই হোমটাই। ওখানেই অল্প অল্প করে বেড়ে ওঠা ছোট ছোট মেয়েগুলোর। জলপাইগুড়ির ওই হোমে নিয়মিত যান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ। হোমের আবাসিক খুঁদেদের খোঁজখবর নেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। ছোট ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টাতেই দিন কেটে যায় দুলাল বাবুর। জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি বলে কথা। কাজের ব্যস্ততা তো রয়েছেই। কিন্তু তার মধ্যেও প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল-বিকেল দুই বেলা সেখানে যান তিনি। ওখানকার খুদেদের কাছ তিনি খুব প্রিয় একজন মানুষ। ভালবেসে ওরা সবাই দুলাল বাবুকে ‘দাদু’ বলেই ডাকে। এত ‘নাতনিকে’ পেয়ে খুশি দুলাল বাবুও।

গত দুই বছর দুর্গাপুজোর জৌলুস ছিল অনেকটাই কম। তাই জলপাইগুড়ির হোমের এই ছোট-ছোট বাচ্চাগুলির পুজোয় সেভাবে আনন্দ হয়নি। তবে এইবার করোনার কাঁটা পেরিয়ে আবার পুরনো ছন্দে ফিরেছে শারদীয়া দুর্গোৎসব। তাই এবার প্রিয় দাদুর কাছে তাঁদের আবদার, পুজোয় গোটা একটা দিন তাদের বিভিন্ন পুজোগুলি দেখাতে হবে। এতগুলি খুঁদে খুঁদে ‘নাতনির’ আবদার ফেরাতে পারেননি দুলাল বাবু। তাই সপ্তমীর সকালেই একটি বাসে চেপে হোমের সব আবাসিকদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঠাকুর দেখতে।

জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার বিভিন্ন পুরাকীর্তি ও আশ্রমগুলি ঘুরিয়ে দেখান তাদের। জল্পেশ মন্দির, জটিলেশ্বর মন্দির ঘোরান। পুজো দেন, ভোগ খান সকলে মিলে। এরপর কোচবিহারের নিগমানন্দ আশ্রমও নিয়ে যান। একটি গোটা দিন এভাবে ঘুরতে পেরে খুশি খুদেরাও। ওই হোমের সুপার ডালিয়া মিত্র বলেন, “জেলাপরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল বাবু নিয়ম করে সকাল বিকাল আমাদের হোমে আসেন। বাচ্চাদের খোঁজ নেয়। তারাও দুলাল বাবুকে ‘দাদু’ বলে ডাকে। তাই তারাই এবার ঠাকুর দেখানোর বায়না ধরেছিল। দুলাল বাবুও রাজি হয়ে যান। তাই আজ তিনি ঠাকুর দেখাতে নিয়ে যান। আজ খুব আনন্দ করেছে ওরা।”

জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, “এই নিয়ে বেশ কয়েকবার বাচ্চাদের নিয়ে ভ্রমণ করলাম। এদের সঙ্গে সময় কাটাতে খুব আনন্দ হয়। এবারে বাংলাদেশের এক আবাসিককেও নিয়ে গেলাম। পুজো দেখে তার খুব ভাল লেগেছে।”

Next Article