জলপাইগুড়ি: মর্গ সাফাই না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনও লাশ নয়, জেলার সব থানাগুলিকে জানিয়ে দিল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। মর্গের চূড়ান্ত অব্যবস্থা। যতগুলি দেহ মর্গে রাখার জায়গা রয়েছে, তার থেকে বহু গুণ বেশি দেহ জমে রয়েছে হাসপাতালের মর্গে। বেওয়ারিশ লাশ। এমনকী ২০১৮ সাল থেকে কেউ দাবি করতে আসেনি, এমন লাশও পড়ে রয়েছে। লাশপচা গন্ধে টেকা দায়। আর এমন পরিস্থিতিতে সোমবার জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
পরে অবশ্য আবার ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সোমবার জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে দুটি নতুন দেহ এসেছিল। ময়নাতদন্তের জন্য। প্রথমে ময়নাতদন্ত বন্ধ করে রাখা হলেও, পরে কোনওক্রমে সেই দুটি দেহের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু যতদিন না মর্গের সাফাই হচ্ছে, ততদিন নতুন করে আর কোনও দেহ যাতে হাসপাতালের মর্গে না পাঠানো হয়, সেই কথা থানাগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন সন্ধেয় সেই কথাই জানালেন জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের ফরেন্সিক বিভাগের চিকিৎসক ভাস্বর ভট্টাচার্য।
হাসপাতালের মর্গের যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, সে কথা আগেই টিভি নাইন বাংলাকে জানিয়েছিলেন চিকিৎসক ভাস্বর ভট্টাচার্য। প্রায় ১৩০টি বেওয়ারিশ লাশ জমে রয়েছে মর্গের ভিতরে। তাতে পোকা ঘুরে বেরাচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে যে কোনও সময়ে মর্গের ডোম বা অন্য কোনও স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা চিকিৎসক সংক্রমিত হয়ে যেতে পারেন, সেই আশঙ্কাও শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়।
মর্গের এই অবস্থার কথা জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুর কানেও গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তিনিও এক হোয়াটস্অ্যাপ বার্তায় জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পুর প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আর এদিকে হাসপাতালে মর্গে নতুন যে দেহগুলি এসেছিল, তাদের পরিবারের লোকজনও ময়নাতদন্ত না হওয়ার ফলে দেহগুলি ফেরত পাচ্ছিলেন না। এমন অবস্থায় তাই কোনওক্রমে ওই নতুন দেহগুলির ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।