Jalpaiguri Medical College: প্রয়োজন আজ, এক্স-রে করার ডেট দেড়মাস পর, চরম দুরাবস্থা জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 16, 2022 | 11:26 PM

Jalpaiguri Medical College: জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের এক্স-রে মেশিন ও ডায়ালেসিস মেশিন উভয় খারাপ। আর এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা।

Jalpaiguri Medical College: প্রয়োজন আজ, এক্স-রে করার ডেট দেড়মাস পর, চরম দুরাবস্থা জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে

Follow Us

জলপাইগুড়ি: অচল এক্স-রে মেশিন ( X-Ray Machine)। রোগীর এক্স-রে করার প্রয়োজন আজ, কিন্তু ডেট দেওয়া হচ্ছে প্রায় দেড় মাস পর। রোগী হয়রানির চরম নজির গড়ল জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (Jalpaiguri Medical College)। একইসঙ্গে ডায়ালেসিস মেশিন খারাপ থাকার কারণেও সমস্যা পড়ল রোগীরা। সূত্রের খবর, গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অচল হয়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সদর হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন। হাসপাতালের টিকিট নিয়ে এক্স-রে ইউনিটে এলে রোগীদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। অভিযোগ, সেখানে গেলে এক্সরের সময় লিখে দেওয়া হচ্ছে প্রায় দেড়মাস পর। আর এতেই সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা। জেলার অন্যতম প্রধান সরকারি হাসপাতালের এই অবস্থা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে নাগরিক মহলে। 

বুধবার হাসপাতালের আউটডোরে বুকের ব্যথা নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন জলপাইগুড়ি রঙধামালির বাসিন্দা সুভাষ  রায়। ডাক্তারবাবু তাঁকে এক্স-রে করার পরামর্শ দেন। সেই মতো সদর হাসপাতালের এক্স-রে ইউনিটে যান তিনি। সেখানে জানানো হয় মেশিন খারাপ। সেখান থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় চার কিলোমিটার দূরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে এক্স-রে ইউনিটে যোগাযোগ করলে তাকে বলা হয় আজ এক্স-রে হবে না। তাঁর স্লিপে আগামী ২৩ ডিসেম্বর এক্স-রে করার তারিখ লিখে দেওয়া হয়। 

একইসঙ্গে এদিন হাসপাতালের ডায়ালিসিস মেশিন খারাপ হয়ে পড়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হন ডায়ালেসিস করতে আসা রোগীরা। এদিন ডায়ালেসিস করাতে ময়নাগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে আসেন রাজীব চন্দ। সকাল থেকে হাপিত্তেশ করে বসে ছিলেন তিনি। ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডাক্তার প্রবীর কুমার দেব জানান, ঘটনা কথা তার জানা নেই। উপ অধ্যক্ষর কাছ থেকে ঘটনা জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে সরকারি হাসপাতালের এই দুরাবস্থা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার স্বাস্থ্য মহলে। এখন দেখার সমস্যা জানার পরেও কী ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। 

Next Article