Jalpaiguri OC: আইন ভাঙায় জরিমানা না করেই ভরা রাস্তায় ব্যবসায়ীর সঙ্গে ‘বিতর্কিত’ আচরণ ওসির

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 11, 2022 | 9:10 AM

Jalpaiguri OC: ভিডিয়োতে দেখা যায়, ট্রাফিক ওসি অভিজিৎ সিনহা রীতিমতো তেড়ে আসেন সেই ব্যবসায়ীর দিকে। অভিযোগ, ওই ট্রাফিক পুলিশ বলতে থাকেন, 'মারবি আমাকে মার'।

Jalpaiguri OC: আইন ভাঙায় জরিমানা না করেই ভরা রাস্তায় ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিতর্কিত আচরণ ওসির
বিতর্কিত ট্রাফিক পুলিশ

Follow Us

জলপাইগুড়ি:  ট্রাফিক ওসি-র দাদাগিরি। তিন বছরের পুরনো রাগের প্রতিশোধ নিতে সিট বেল না লাগানোর অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ীকে হেনস্থার অভিযোগ। ওই ব্যবসায়ীকে ট্রাফিক পুলিশ মারতে উদ্যত হন বলেও অভিযোগ।

ঘটনাটা ঠিক কী ঘটেছে?

শুক্রবার ধূপগুড়ি ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি গাড়ির চালকের সিট বেল্ট না থাকায় তাঁর জরিমানা না করে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁকে গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। এক জন পুলিশ আধিকারিক হয়ে সাধারণ মানুষকে আইন না বুঝিয়ে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা।

এই ঘটনার প্রতিবাদ করাতে উত্তেজিত হয়ে ওঠে ট্রাফিক ওসি। সিট বেল্ট না থাকায় ফাইন কাটার কথা তাঁর। কিন্তু ফাইন কাটার পাশাপাশি অশালীন ভাষা প্রয়োগ করা হয় বলে অভিযোগ আর তাঁকে নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। শনিবার সকালে ধূপগুড়ি শহরের একটি নামী মোবাইল ফোনের দোকানের মালিক নান্টু পাল গাড়ি নিয়ে আসছিলেন। ট্রাফিক আইন অনুযায়ী, তিনি ড্রাইভিং সিটে থাকা সত্ত্বেও সিট বেল্ট লাগান নি।

এরপর যথারীতি কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ তাঁকে দাঁড় করান এবং সিট বেল্ট না থাকার জন্য জরিমানার কথা বলেন। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাক চলছিল। এরই মধ্যে ব্যবসায়ীকে উত্ত্যক্ত করেন ট্রাফিক ওসি অভিজিৎ সিনহা বলে অভিযোগ।

তিন বছর পুরনো একটি কথা তিনি টেনে আনেন। আর এতেই চটে যান ওই ব্যাবসায়ী। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তিনি যদি ট্রাফিক আইনভঙ্গ করে থাকেন। তবে তিনি জরিমানা দিতে রাজি, তাই বলে কেউ পুরনো কথা টেনে এনে রাস্তায় তাঁকে অপমান করতে পারে না। এমনকি খাকি উর্দির অপব্যবহার করা হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।

ভিডিয়োতে দেখা যায়, ট্রাফিক ওসি অভিজিৎ সিনহা রীতিমতো তেড়ে আসেন সেই ব্যবসায়ীর দিকে। অভিযোগ, ওই ট্রাফিক পুলিশ বলতে থাকেন, ‘মারবি আমাকে মার’। উল্লেখ্য, এই ওসি-র বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ ছিল। এর আগে থানার ভেতরেই এক হোম গার্ডের সঙ্গেও মারপিটে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি নিজের অফিসে স্যান্ডো গেঞ্জি পড়ে উদ্দাম নাচ করেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। ওঁর বিতর্কের তালিকা নেহাত কম নয়।

কোন এক অদৃশ্য কারণে বারবার ঘুরে ফিরে ধূপগুড়ি ট্রাফিক ওসির গুরুদায়িত্ব পেয়ে যান এই অফিসার। এতবার এত বিতর্কে জড়ানোর পরেও বহাল তবিয়তে রয়েছে অভিজিত। সিটবেল্ট না পরে গাড়ি চালানোর জন্য জরিমানা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সেই ব্যক্তি।

তবে ধূপগুড়ির ট্রাফিক ব্যবস্থার বর্তমান চিত্র দেখলে তাঁর কঙ্কালসার রূপটি সামনে উঠে আসে। ট্রাফিক আইল্যান্ড থেকে পনেরো কুড়ি মিটার দূরে গেলেই দেখা যায় নো পার্কিং জোন থেকে শুরু করে সার্ভিস রোড সবটাই দখল হয়ে গিয়েছে। ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ ধূপগুড়ির রাস্তাকে সুরক্ষিত করে খোলার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল।

এরপর দিন পনেরো ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা ও সাব ইন্সপেক্টর বিনয় যাদবের নেতৃত্বে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়। মাসখানেক ঠিক থাকার পর ফের একবার সেই আগের হাস্যকর অবস্থায় ফিরে আসে ধূপগুড়ির ট্রাফিক ব্যবস্থা।

এই ঘটনা নিয়ে ট্রাফিক ওসিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও, তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তিন বছরের পুরনো কোনও বচসা বা মনোমালিন্য থেকে এই বিবাদ কিনা সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Next Article