জলপাইগুড়ি: নিজের মেয়ের সঙ্গেই নয়, কলেজের একাধিক ছাত্রী, অধ্যাপিকার সঙ্গেও অশালীন আচরণ করেছেন মেয়েকে ‘ধর্ষণে’ অভিযুক্ত অধ্যাপক। ওই অধ্যাপকের আরও কীর্তি ফাঁস করলেন তাঁরই সহকর্মী অধ্যাপিকা। তাও আবার কলেজ ক্যাম্পাসে সকলের সামনে দাঁড়িয়েই। জলপাইগুড়ির ধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে।
নিজের মেয়েকে গর্ভবতী করে ফেলেন বাবা। অভিযুক্ত আবার এক জন অধ্যাপক। জলপাইগুড়ির এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। অভিযুক্ত অধ্যাপক সম্পর্কে হাটে হাড়ি ভাঙলেন ওই কলেজের এক অধ্যাপিকা। ক্যামেরার সামনে করলেন বিস্ফোরক বেশ কিছু অভিযোগ।
বুধবার বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে ওই অধ্যাপিকা বলেন, “নিজের মেয়েকে গর্ভবতী করেছেন ওই প্রফেসর, তা শুনে আমি একদমই বিচলিত নই। আসলে ওঁ এরকমই।” তিনি অভিযোগ করেন, “আমাদের কলেজের এক অধ্যাপিকাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব পর্যন্ত দিয়েছিলেন। আমাদের শুনিয়ে শুনিয়ে মাঝেমধ্যেই বলতেন, তিনি সোনার গয়না বানিয়েছেন। আজ হাতের বালা, কাল গলার মালা বানিয়েছি বলে শোনাতেন। এইসব শুনিয়ে নিজের প্রতি আমাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করতেন।”
ওই অধ্যাপিকার কথায় উঠে এসেছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। তিনি দাবি করেন, “আমার পরিচিত একজনকে বিয়ে করতে আমার মাধ্যমে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে চেয়েছিলেন। বুঝতে পেরে নানান অছিলায় আমি সরে যাই। আমি শুনেছি ওঁ নাকি আরও একটা বিয়ে করেছেন। ওঁ একজন নোংরা লোক।”
কেবল নিজের মেয়ে নয়। কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, “ওঁ কলেজে একবার কয়েকজন ছাত্রীকে জামা দিয়েছিলেন। সেইসময় এক ছাত্রী বলে তার জামাটি ছোট হয়েছে। সেই কথা শোনা মাত্র প্রফেসর মেয়েটিকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন।”
আপাতত স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করেন জলপাইগুড়ি মহিলা থানার পুলিশকর্মীরা।