জলপাইগুড়ি: সোনা ছিনতাইয়ের তদন্তে বড় সাফল্য পুলিশের। ছিনতাইকারী গ্যাংকে তো গ্রেফতার করেছেই পুলিশ, পাশাপাশি কীভাবে সেই ছিনতাই করা সোনা বাজারে বিক্রি হত, সেই রহস্যভেদও হয়েছে। সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে একের পর এক সোনার হার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে আসছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এবার বড়সড় ব্রেক থ্রু পেল পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ভক্তিনগর থানা এলাকা থেকে বাপ্পা দাস (২১) ও রোশন বর্মণ (২৪) নামে দুই যুবককে আগেই পাকড়াও করেছিল পুলিশ।
সেই দুজনকে জেরা করে ভক্তিনগর থেকেই গ্রেফতার করা হয় আরও একজনকে। তৃতীয় ব্যক্তির নাম গণেশ কর্মকার। বছর বত্রিশের ওই ব্যক্তির থেকে উদ্ধার হয়েছে ছিনতাই হওয়া সোনা। পুলিশ সূত্রে খবর, ছিনতাই করা সোনার হারগুলিকে গলিয়ে সোনার বার তৈরি করা হত। তারপর সেগুলিকে বাজারে বিক্রি করত এই ছিনতাইকারী গ্যাং। গণেশের থেকে এরকম মোট ৪টি সোনার বার উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, ছিনতাই করা সোনার হারগুলি গলিয়েই এই সোনার বারগুলি তৈরি করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার অভিযুক্তদের জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ। সহকারী সরকারি আইনজীবী সিন্ধুকুমার রায়, জানিয়েছেন ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিকে ছিনতাইকারী গ্যাংয়ের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ।