Covid Restriction: আংশিক লকডাউন নিয়ে পুরসভা-জেলা প্রশাসনের দড়ি টানাটানি, ফের বৈঠকে বসছে কর্তৃপক্ষ

Jalpaiguri: সোমবার বিকেলে জলপাইগুড়ি পুরসভার কনফারেন্স হলে কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা নিয়ে একটি বৈঠক হয়।

Covid Restriction: আংশিক লকডাউন নিয়ে পুরসভা-জেলা প্রশাসনের দড়ি টানাটানি, ফের বৈঠকে বসছে কর্তৃপক্ষ
সোমবার বৈঠকের পর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2022 | 10:08 PM

জলপাইগুড়ি: সংক্রমণের কথা চিন্তা করে সপ্তাহে দু’দিন করে মোট চারদিন কার্যত আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জলপাইগুড়ি পুরসভা। সোমবারই এ নিয়ে বৈঠক হয়। কিন্তু বিষয়টি ঘোষণার পরই এই সিদ্ধান্ত ঘিরে পুরসভা ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়। অস্বস্তিতে জেলা প্রশাসন। স্বয়ং জেলাশাসক বিষয়টি নিয়ে পুনর্বিবেচনার কথা বলেন পুরকর্তৃপক্ষকে। এ নিয়ে মঙ্গলবার ফের পুরসভায় বৈঠক ডাকা হল। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল জানান, সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তারপরই জানানো হবে সোমবার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা বলবৎ হবে কি না।

সোমবারের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, “মার্কেট রোটেশন মেনে বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে পুরসভার পরিকল্পনা ফের ভাবনা চিন্তা করতে বলা হয়েছে।” অন্যদিকে পাপিয়া পাল বলেন, “সোমবার একটা বৈঠক ছিল। যদিও পারিবারিক সমস্যার কারণে আমি যেতে পারিনি। যতদূর আমার কাছে খবর আজকের বৈঠকের বিস্তারিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর জেলাশাসক আমাদের মঙ্গলবার একটা রিভিউ মিটিংয়ে বসতে বলেছেন। পর্যালোচনা বৈঠকের পরই মঙ্গলবার আমি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।”

সোমবার বিকেলে জলপাইগুড়ি পুরসভার কনফারেন্স হলে কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে জলপাইগুড়ি সদর মহকুমাশাসক ছিলেন। অংশ নেন পুলিশ, ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরাও। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান-সহ পুরপ্রশাসক বোর্ডের একাধিক সদস্য সেখানে ছিলেন। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় জানান, “বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৯ জানুয়ারি ও ২২ জানুয়ারি শুধুমাত্র ওষুধের দোকান এবং খুব প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া পুরো বাজার বন্ধ থাকবে। মুদির দোকান বন্ধ থাকবে। জামা কাপড়ের দোকান, যত বাজার, শপিং মল, রেস্তোরাঁ এই দু’দিন বন্ধ থাকবে।”

একইভাবে ৩০ জানুয়ারি ও ৩১ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে বলেও জানান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য। মানুষকে বাঁচানোই একমাত্র লক্ষ্য। সে কারণেই এই বিধিনিষেধ। এ প্রসঙ্গে সৈকত চট্টোপাধ্যায় পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, “গত সাত আটদিন যে পরীক্ষা হয়েছে তার হিসাবে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ২০০ পার করে গিয়েছে। রবিবার স্টেশন বাজারে ৫০ জনের র‌্যাপিড টেস্ট করা হয়। ১০ জনের পজিটিভ এসেছে। অর্থাৎ ২০ শতাংশ। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৬ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ মারাও গিয়েছেন। রবিবার রাত থেকে অসুস্থ ছিলেন উনি। এই মৃত্যু আমাদের ভাবাচ্ছে। তাই আমরা সবরকমভাবে সতর্কতা চাইছি।”

কিন্তু এই নির্দেশিকা কার্যকর হওয়া মানে শহরের সমস্ত বাজার, দোকান একসঙ্গে বন্ধ রাখা। যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে জেলা প্রশাসনের অন্দরেই। একসঙ্গে সব বাজার বন্ধ রাখা কতটা যুক্তিযুক্ত তা পর্যালোচনাতেই ফের মঙ্গলবারের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

আরও পড়ুন: Covid Restriction: বাড়ছে সংক্রমণ, এবার আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটছে পুরসভা