জলপাইগুড়ি: মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনের মুখে বিজেপিতে বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা। তৃণমূলের যোগ দিতে পারেন জন বার্লা। ডুয়ার্সের রাজনৈতিক মহলে এমনই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মাদারিহাট উপনির্বাচনের প্রচারে দেখা যাচ্ছে না
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা জন-বার্লাকে।
এই পরিস্থিতিতে জন বার্লার ডুয়ার্সের বানারহাটের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের বাড়িতে হঠাৎই উপস্থিত তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক দীপেন প্রামাণিক ও তৃণমূলের জেলার মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জন বার্লা কি তৃণমূলে যেতে চলেছেন?
এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, আগামী ১৩ নভেম্বর আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের দুটো গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ও সাকোয়াঝোরা গ্রাম পঞ্চায়েত।
জন বার্লা নাম না করে মনোজ টিজ্ঞার উদ্দেশে বলেন, “এখানে ওয়ান আর্মি হিসাবে সব কিছু চলছে। কারোর সঙ্গে কোনও কথা না বলে। মাদারিহাটের উপ-নির্বাচনে আমার দুদিকে দুই ভাই, একদিকে গোর্খা একদিকে আদিবাসী। আমি ময়দানে নামলে গোর্খা আদিবাসী রাগ করবে।”
জন বার্লার বক্তব্য, “‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ হিসাবে কেউ যদি জেলা চালায় তাহলে কি চলবে? তাই ওয়ান ম্যান এর জন্য কোনও লিডারশিপ নামছে না এইভাবে তো চলবে না,
আপনারা বুঝবেন কাকে বলছি, এখন আমাকে ছাড়া জিতলে ভালো, চা বাগানের মানুষকে নিয়ে না চললে কেন বিশ্বাস করবে?”
জন বার্লা আরও বলেছেন, “সুকান্ত মজুমদার এসেছিলেন আমার বাড়িতে, আমি বলেছি এই লিডারশিপ থাকলে কাজ করা যাবে না। সব ভেঙে দিয়েছে।” তবে দল বদলের কোনও চিন্তা তিনি করেননি বলেই জানিয়েছেন। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ বলেন, “আমাদের কোনও সেটিংয়ের দরকার পড়ে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন-আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যদি জন বার্লা মনে করেন, তৃণমূলে আসবেন, তাহলে আসবেন।”
বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, “যাঁরা বলছেন, তাঁদের কাছেই এই উত্তর রয়েছে। এই উপনির্বাচনে মাদারিহাট, সিতাইয়ে বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে নেমেছে। রাজনৈতিকভাবে কে কার বাড়িতে যাবে, তা ঠিক করে দেওয়া সম্ভব নয়।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জন বার্লার বোন মেরিনা কুজু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুলকাপাড়া এলাকা থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত হন মেরিনা। ভাল ব্যবধানেই জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে বিজেপি তাঁকে টিকিট দেয়নি। তারপরই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।