জলপাইগুড়ি: হাইকোর্টের তরফে নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরই প্রশাসনের তরফে দ্রুত পদক্ষেপ করা হল জল্পেশ মন্দিরের তরফে। আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ২ সপ্তাহের রবিবার ও সোমবার মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করে শিবের মাথায় জল ঢালতে পারবেন না পূণ্যার্থীরা। শ্রাবণ মাসের সোমবারে শিব পূজার রীতি প্রচলিত থাকার কারণেই সোমবার করে ভিড় বাড়ছে জল্পেশ মন্দিরে।
সম্প্রতি জলপাইগুড়ির জল্পেশ মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ব্যক্তি। মন্দিরের গর্ভগৃহের মধ্যে প্রবল ভিড় থাকার কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে দাবি করেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা রাজ কুমার দাস। এরপরই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলা ওঠে। জেলা প্রশাসন এবং মন্দির কমিটিকে তলব করা হয়েছিল আদালতে। এরপর ওই নির্দেশ জারি করেন বিচারপতি।
শ্রাবণ মাসে আর দুটি সোমবার বাকি রয়েছে, আর রবিবার ছুটির দিন। তাই আগামী ২ সপ্তাহের রবিবার ও সোমবারের কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ পাওয়ার পরই সতর্ক হয়েছে প্রশাসন। শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য চ্যানেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ পালন করা হবে।
গর্ভগৃহে না গিয়ে বিশেষ ব্যাবস্থার মাধ্যমে জল ঢালতে পারবেন পূণ্য়ার্থীরা। ওই দু দিন কোনও টিকিট বিক্রি করা যাবে না বলেও জানিয়েছে পুলিশ। মন্দিরের নিরাপত্তাও বাড়ানো হবে। মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরিন্দ্রনাথ দেব জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরই বিকল্প ব্যবস্থার কাজ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই জল্পেশ মন্দিরে যাওয়ার পথেই সম্প্রতি ১০ পূণ্য়ার্থীর মৃত্যু হয় এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায়। পিক আপ ভ্য়ানে মন্দিরের পথে যাওয়ার সময় জেনারেটর থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে যায় গাড়িতে। সেই ঘটনাতেই ১০ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ওই মন্দিরে যাওয়ার পথে ডিজে বাজানো যাবে না বলে জানিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।