Malbazar Municipality: সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে টাকা, পুরসভাকে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 12, 2022 | 10:38 AM

Malbazar Municipality: সংস্থার ১৪ লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে। তিন বছর পরও টাকা না পাওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই সংস্থা।

Malbazar Municipality: সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে টাকা, পুরসভাকে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

Follow Us

মালবাজার : লক্ষাধিক টাকার চিকিৎসার সরঞ্জাম কিনে টাকা না মেটানোর অভিযোগ উঠেছে পুরসভার বিরুদ্ধে। তিন বছর কেটে গেলেও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি মালবাজার পুরসভার তরফে। পুরসভার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিল ওই সংস্থাকে। সেই মামলায় অবিলম্বে টাকা মেটানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে সেই মামলা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ছিল মামলার শুনানি। দু পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, ২ মাসের মধ্যে বকেয়া টাকা সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে।

কলকাতার রমা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সংস্থার কাছ থেকে কেনা হয়েছিল ওই সরঞ্জাম। দাম ছিল ১৪ লক্ষ টাকা। সরঞ্জামটি কিনে হাসপাতালে দান করা হয়। অভিযোগ, ২০১৯ সালে সেই সেই যন্ত্র কেনার পর বকেয়া বিল মেটায়নি পুরসভা। একাধিকবার সংস্থার তরফে পুরসভায় আবেদন করা হলেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাঁদের।

সংস্থার আইনজীবী ধীমান কুমার সেনগুপ্ত ও এষা আচার্য জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে মালবাজার পুরসভার তরফে টেন্ডার ডেকে ওই সরঞ্জাম কেনা হয়েছিল। তারপর সেটি মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দান করা হয়। আইনজীবীরা আদালতে জানিয়েছেন, রমা এন্টারপ্রাইজ নামে ওই সংস্থা স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে। তাই ১৪ লক্ষ টাকা বকেয়া থাকায়, তাদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। অন্যদিকে, মালবাজার পুরসভার তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছে, সরঞ্জামটি খারাপ ছিল। ঠিক ভাবে কাজ করে না। তার প্রমাণ স্বরূপ কিছুও নথিও পেশ করা হয়েছে আদালতে। তবে বকেয়া বিলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পুরসভার আইনজীবীরা।

আগামী ২ মাসের মধ্যে পুরসভাকে বকেয়া টাকা ৫ শতাংশ সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে আদালতের তরফে। আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন, রমা এন্টারপ্রাইজ নামে ওই সংস্থার প্রতিনিধি কৃষ্ণ দত্তবণিক। তিনি জানান, প্রথম থেকেই আদালতের প্রতি পূর্ণ আস্থা ছিল। এই নির্দেশে স্বস্তি পেলেন তাঁরা। সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, হাসপাতালে দান করা হবে বলে ন্যুনতম লাভ রেখেই বিক্রি করা হয়েছিল ওই যন্ত্র।

Next Article