নিউ জলপাইগুড়ি: কাঞ্চনজঙ্ঘা বিপর্যয়ে বড় আপডেট! এবার মালগাড়ির চালক ও সহকারি চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল নিউ জলপাইগুড়ি জিআরপিতে। এক যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে জিআরপিতে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানা গিয়েছে, মালগাড়ির গতিবেগ ছিল ৭৮ কিলোমিটার। কেন এত বেশি গতিতে চলছিল মালগাড়িটি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রেলের তরফে যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে যে অভিযোগ দায়ের তাতে চালক ও সহ চালকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ। অধিক গতিতে চলছিল মালগাড়ি। কিন্তু বিষয়টা হল, যাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, মালগাড়ির লোকো পাইলট অনীল কুমারের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনাস্থলেই। সহকারি চালক এখনও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার নেপথ্যে প্রথম থেকেই সিগন্যাল-বিভ্রাটের বিষয়টা সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের পর মালগাড়ির চালক সিগন্যাল ফেল করেই রাঙাপানির দিকে এগিয়ে গিয়েছিল। তাতেই দুর্ঘটনা। কাঞ্চনজঙ্ঘার এক্সপ্রেসের পিছনের দুটো কামরা দুমড়ে মুচড়ে যায়। পার্সেল বগি উঠে যায় ইঞ্জিনের ওপর। ঘটনায় মৃত্যু হয় মালগাড়ির চালক। সোমবারই বগি কেটে বার করা হয় তাঁর দেহ। তাঁর বিরুদ্ধেই দায়ের হল এফআইআর। কেন মালগাড়ির গতিবেগ বেশি ছিল তা নিয়ে প্রথম থেকেই উঠছিল। দুর্ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে সেফটি কমিটি। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন, সেফটি কমিশনারের তদন্ত রিপোর্ট আসার আগেই তড়িঘড়ি এই FIR করে কার্যত কর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা কিনা সে প্রশ্নও উঠছে।