জলপাইগুড়ি: খবরটা কানে পৌঁছয়নি। কিন্তু আন্দাজ করেছিলেন। বড় কিছু তো ঘটেইছে। তাই হাসপাতালের বেডে শুয়ে তখনও নিজের সহকর্মীর খোঁজ নিচ্ছিলেন মনু। আশঙ্কা করছিলেন কী হয়েছে ঠিক! তবে সেটা বুঝতে পারছিলেন না তিনি। তাই বারবার এ দিকে ওদিক তাকিয়ে প্রশ্ন করছিলেন কেমন আছেন চালক অনিল কুমার।
একসঙ্গেই যাত্রা শুরু করেছেন মালগাড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট মনু কুমার এবং লোকো পাইলট অনিলবাবু। অনেকখানি পথ গিয়েছিলেন একসঙ্গে। কিন্তু বাধ সাধল দুর্ঘটনা। গুরুতর আহত অবস্থায় মনু শুয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের বেডে। আর অনিলবাবু নেই। দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাঁর প্রাণ। বেডে শুয়ে যখন সাংবাদিকরা মনু কুমারকে বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন, তখন অসুস্থ শরীরে পাল্টা তাঁর প্রথম প্রশ্ন, ‘ড্রাইভার সাহাব ক্যাসে হ্যায়…’ অপর প্রান্ত থেকে উত্তর এল, “এখনও ওঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।” এই উত্তর শুনে বাকিটা বুঝতে অসুবিধা হল না হল তাঁর। চোখ বুঝলেন। আর কোনও প্রশ্ন করলেন না। হয়ত তিনি বুঝেই গিয়েছেন, তাঁর সহকর্মী আর নেই। তাই রা কাটলেন না আর। চোখে মুখে ধরা পড়ল অসহায়তার ছবি।
মনু সাংবাদিকদের বললেন,”আমি কিচ্ছু জানি না। মোবাইল নম্বর মনে নেই। আমার কিছু মনে পড়ছে। পরিশ্রান্ত আমি…। এইটুকু! তারপর আবার চোখ বুঝলেন তিনি।