ধূপগুড়ি: কৈলাসে ফিরছেন উমা। স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ বঙ্গবাসীর। এই বছর করোনার (Corona) জন্য জাঁক-জমক করে বিসর্জন না হলেও মেয়ের বিদায়ে কোনও রকম খামতি রাখতে চাইছে না প্রত্যেক বাঙালি। জেলায়-জেলায় সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে উমার বিসর্জন। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে গেল অঘটন। বিসর্জনে এসে ছুরির হামলায় গুরুতর জখম হল এক যুবক।
জানা গিয়েছে, আজ সন্ধেয় গেন্দ্রাপাড়া চা বাগান থেকে গয়েরকাটার বিসর্জন ঘাটে এসেছিল বেশ কয়েকজন যুবক। সেই সময় ভিড়ের মধ্যে রোহন ওরাও (Rohan Orao) নামে এক যুবককে ছুরি মারা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাদের আরও দাবি ছুরি মারার বিষয়টি কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের জানালে তারা কোনও রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। পাশাপাশি আহত যুবককে হাসপাতালে পৌঁছানোর কোনও ব্যবস্থা করেনি।
এরপর ওই যুবকের সঙ্গীরা তাকে টোটোতে চাপিয়ে আংরাভাসা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। যদিও পরিকাঠামোর অভাবে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। শেষমেষ গোয়েরকাটা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে রোহনকে নিয়ে আসলে তার চিকিৎসা শুরু হয়। ভিড়ের মধ্যে কে ওই যুবকের উপর হামলা চালালো বিষয়টি এখনও পরিষ্কার ভাবে জানা যায়নি। তবে এইভাবে যুবকের উপরের ছুরি দিয়ে হামলার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ঘটনায় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগেও এই জেলায় ছুরি হামলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা শ্যামল হালদার শিলিগুড়ির বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন ধরে বিশাখা মালোদাস নামে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এদিন বিবাহিতা বিশাখা মালোদাস তাঁর বাপের বাড়ি ধূপগুড়ির ভেমটিয়া এলাকায় আসে। জানা গিয়েছে বিশাখা ফোন করে শ্যামল হালদার নামে তাঁর প্রেমিককে ফোন করে তাঁকে বাড়ি আসতে বলে। কিন্তু শ্যামল তাঁদের বাড়ি আসতেই বিপত্তি। তাঁকে ঘিরে ধরে পাড়াপ্রতিবেশীরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলা হয় শ্যামলকে। তার পর চলে এলোপাথাড়ি মারধর। এমনকি যুবক বাধা দিতে গেলে অস্ত্রের কোপ এসে পড়ে তাঁর মাথায়। তাঁর মোবাইল ফোনও কেড়ে নিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।