Leopard: রান্নাঘরে চুপটি করে বসে চিতাবাঘের ছানা, বাড়ির কর্ত্রী ঝাঁট দিতে গিয়ে তো মূর্ছা যাওয়ার জোগাড়
Dhupguri: বাড়ির কর্তা রতন সূত্রধরের কথায়, তাঁরা প্রথমে ভেবেছিলেন বিড়ালের বাচ্চা হতে পারে। পরে ভাল করে দেখে বুঝতে পারেন চিতাবাঘের ছানা। রতন বলেন, "আমি বাড়িতে ছিলাম না, দোকানে গিয়েছিলাম। আমার মা রান্নাঘরের বাইরে পরিষ্কার করছিল। হঠাৎ টেবিলের নিচে পরিষ্কার করতে গিয়ে তো চোখ কপালে ওঠে।"
ধূপগুড়ি: হঠাৎ যদি দেখেন আপনার বসার ঘর কিংবা শোওয়ার ঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছে চিতাবাঘ, নিশ্চয়ই বিশ্বাস হবে না প্রথমে? অলীক কল্পনা মনে হলেও কখনও কখনও তা সত্যি হয়ে যায়। ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের খরিয়াবন্দর বস্তি এলাকার রতন সূত্রধররা তা ভালই টের পেয়েছেন শনিবার সকালে। সাতসকালে রান্নাঘরের দরজা খুলতে চোখ কপালে ওঠে তাঁর মায়ের। দেখেন টেবিলের নিচে বসে আছে চিতাবাঘের ছানা। আওয়াজ পেয়ে তর্জন গর্জনও করে। তারপর ঘরের ভিতর কখনও ঘুরঘুর, কখনও এক কোণে সেঁধিয়ে যাওয়া।
বাড়ির কর্তা রতন সূত্রধরের কথায়, তাঁরা প্রথমে ভেবেছিলেন বিড়ালের বাচ্চা হতে পারে। পরে ভাল করে দেখে বুঝতে পারেন চিতাবাঘের ছানা। রতন বলেন, “আমি বাড়িতে ছিলাম না, দোকানে গিয়েছিলাম। আমার মা রান্নাঘরের বাইরে পরিষ্কার করছিল। হঠাৎ টেবিলের নিচে পরিষ্কার করতে গিয়ে তো চোখ কপালে ওঠে। দেখে চিতাবাঘটা বসে আছে। একেবারে ছোট। তবে এমন আওয়াজ করেছে মা ভয় পেয়ে গিয়েছে। তারপর বাড়ির লোকজনকে ডাকে। আমাকেও ফোন করা হয়। বাড়ি এসে দেখি ভিড় এখানে।”
এরপর রতনই খবর দেন বনদফতরে। বনকর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। রতন সূত্রধরের দাবি, চিতাবাঘের খুবই উপদ্রব এই এলাকায়। এর আগেও দু’বার এসেছিল চিতাবাঘ। একবার একটা কুকুর মেরে ফেলে। আরেকবার মুদির দোকানঘরে ঢুকে তছনছ করে বলে দাবি তাঁর। বাড়িতে বাচ্চা বুড়ো আছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন সকলে। বনকর্মীরা এসে দীর্ঘ সময় চেষ্টার পর খাঁচাবন্দি করে তাকে। গরুমারা প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় চিতাবাঘের ছানাকে।