জলপাইগুড়ি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহার থেকে শুক্রবারই বলেন, তাঁর সরকার দুর্গতদের সাহায্য করবেই। কেস করার হলে করুক। সেই একই কথা শোনা গেল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। এদিন জলপাইগুড়িতে ঝড়ে দুর্গতদের নিয়ে এক সভায় অভিষেক বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাঠাবে সরকার। বিপর্যয় মোকাবিলা আইন মেনে সবটা হবে। অভিষেক বলেন, “৫০০ পরিবার বিপর্যয় সংক্রান্ত আইন মেনে ২০ হাজার টাকা পেয়েছেন। সরকারের তরফ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বাংলার মানুষকে ভাতে মারা যাবে না। যদি নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা থাকে আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করবে, আমার সরকারের বিরুদ্ধে এফআইআর করবে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আমাদের সরকার পাঠাবে। আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর। যারা আংশিক ক্ষতির কারণে ৫ হাজার টাকা করে পেয়েছেন, এখন নির্বাচন বিধি চলছে বলে নিয়ম মেনে কিছু করতে পারব না। তবে নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে তৃণমূলের তরফ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেব। আদর্শ আচরণবিধি শেষ হলে আমরা সাহায্য করব বলে গেলাম।”
অভিষেক এদিন বলেন, জলপাইগুড়িতে ৩১ তারিখ হয়ে যাওয়া বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে বহু মানুষ তাঁদের সর্বস্ব হারিয়েছেন। তিনি বলেন, “সম্প্রতি দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের বিষয়ে জানাতে। পাশাপাশি জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের যাতে তাড়াতাড়ি বাড়ির টাকা দিতে পারি সে বিষয়ে অনুরোধ জানাতে। কারণ ভোট ঘোষণার মুহূর্ত থেকে রাজ্য সরকার চলে যায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের আওতায়। কমিশনেরই নিয়ন্ত্রণে থাকে।”
ফলে নির্বাচন কমিশন যতক্ষণ অনুমতি না দেবে, সরকার কোনও কাজ নতুন করে শুরু করতে পারবে না। অভিষেক বলেন, “১ তারিখই রাজ্যের তরফে ইলেকশন কমিশনকে লিখিতভাবে জানানো হয় এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দ্রুততার সঙ্গে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিতে চাই। সঙ্গে যাঁদের ছাদ ঘর ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের যেন বাড়ির ব্যবস্থা রাজ্য সরকার করতে পারে। আমরা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দিতে চাই। রাজ্যকে কমিশন যেন অনুমতি দেয়। নির্বাচন কমিশন সেই অনুমতি দিল না।” অভিষেক বলেন, অসমে বিহু কমিটিকে টাকা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কোনও আপত্তি নেই। টাকা দেওয়া উচিত। কিন্তু অসমে বিজেপি আছে বলে অনুমতি দেবে আর বাংলায় তৃণমূল বলে অনুমতি দেবে না, এর বিরুদ্ধেই আগামিদিন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে।