জলপাইগুড়ি: হাসপাতালে ক্রমেই বাড়ছে আহত রোগীর সংখ্যা। পাগলা কুকুরের ভয়ে কার্যত বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা। গত ৪৮ ঘণ্টায় ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি, খুকশিয়া, টেকাটুলি, নীরেন্দ্রপুর-সহ একাধিক এলাকায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে একটা পাগলা কুকুরকে (Mad Dog)। সূত্রের খবর, ওই কুকুরটিই গত ২ দিনে ওই সমস্ত এলাকার ৩০ জনকে কামড়েছে। একইসঙ্গে এলাকার প্রচুর গবাদি পশুকেও পড়েছে কুকুরটি। গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ পার। তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ। দ্রুত কুকুরটিকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের কাছে দরবার করছেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু, এখনও তা সম্ভব হয়নি। এদিকে বুধবার দিনভর কুকুরটি ২০ জনকে কামড়েছিল। বৃহস্পতিবার তা আরও ১০ বেড়ে গিয়েছে।
এদিকে পাগলা কুকুরের হাত থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই এলাকায় সচেতনতামূল প্রচার শুরু করেছে প্রশাসনের লোকজন। কুকুড়ের কামড় খেলে কেউ যাতে জলাতঙ্কের ইঞ্জেকশন নিতে দেরি না করেন সে বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে পরিবেশ প্রেমী সংগঠনগুলির তরফেও। ছোট বাচ্চাদের যাতে খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বের না করা হয় সেই পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। প্রচার করছে ময়নাগুড়ির পরিবেশী প্রেমী সংস্থার কর্মীরাও। ওই দলেরই এক কর্মী বলছেন, “কুকুরটা অনেক মানুষকে কামড়াছে। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি আছে। মানুষের মধ্যে যাতে এ নিয়ে ভয় না তৈরি হয়, কামড় খেলে যাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায় সে বিষয়ে সকলকে সচেতন করতেই আজকে আমরা প্রচারে নেমেছি। কামড় খেলেই ভ্যাকসিন নেওয়ার কথাও বলছি সকলকে। ব্লক প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেছি। ওনারা কুকুটিকে ধরার ব্যবস্থা করছেন।”
কুকুরের কামড় খেয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা শিবু সর্দারকেও। আতঙ্কে রয়েছে তাঁর গোটা পরিবার। এদিন তিনি বলেন, “আমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। আমকা এসে কামড়ে দেয় কুকুরটা। আমাকে কামড়ানোর পর এলাকার আরও একজনকে কামড়েছে। বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে। খুবই ভয়ই রয়েছি আমরা।”