Jalpaiguri: মহিলাদের আইনে আবেদন করে বসলেন পুরুষ! ধোপে টিকল না মামলা, খারিজ হাইকোর্টে
Jalpaiguri: ২০২৪ সালে শিলিগুড়ি এসিজেএম আদালতে ওই মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে মামলা পৌঁছয় শিলিগুড়ি জে এম ফোর্থ কোর্টে। এরপর এই মামলা খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আবেদন করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষিকার তরফে।

জলপাইগুড়ি: মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ধারায় মামলা করল পুরুষ! উচ্চ আদালতের নজরে বিষয়টি আসতেই মামলা খারিজ করলেন বিচারপতি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আইনজীবী মহলে। এই মামলা কীভাবে নিম্ন আদালত গ্রহণ করেছিল, তা নিয়েই এখন চর্চা শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ওই মামলা নিয়ে আলোচনা চলছে।
জানা গিয়েছে, মৈত্রেয়ী দত্ত নামে মালদহ জেলার এক স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন তাঁর স্বামী। ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’ বা গার্হস্থ্য হিংসার আইনে অভিযোগ এনে ওই মামলা করেন শিক্ষিকার স্বামী সৈকত প্রামাণিক। তিনি নিজেও পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক।
২০২৪ সালে শিলিগুড়ি এসিজেএম আদালতে ওই মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে মামলা পৌঁছয় শিলিগুড়ি জে এম ফোর্থ কোর্টে। এরপর এই মামলা খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আবেদন করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষিকার তরফে। সোমবার বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ এই মামলা খারিজ করার নির্দেশ দেন।
মামলাকারী মৈত্রেয়ী দত্তের পক্ষের আইনজীবী পাঞ্চালী দেব শিকদার নাগ বলেন, “ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স আইনে এই মামলা আমার কাছে আসার পর আমি প্রথমে হকচকিয়ে যাই। কারণ এই আইন কেবলমাত্র মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। এরপর আমি সার্কিট বেঞ্চে মামলা খারিজ করার আবেদন জানাই।” তিন দিন ধরে মামলার শুনানির পর সোমবার তা খারিজ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
এই মামলা সম্পর্কে সিনিয়র ল ইয়ার তথা বিশিষ্ট আইনজীবী সুদীপ্ত মজুমদার বলেন, অনেকসময় আইনজীবী ভুল করতেই পারে। কিন্তু আদালত কীভাবে এই মামলা গ্রহণ করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
