ধূপগুড়ি: একমাত্র মেয়ে! তাঁরই স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে শাশুড়ি অর্থাৎ মেয়ের মায়ের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সংসারে অশান্তি প্রায় লেগেই ছিল। তবে তাঁদের এই প্রণয়ের সম্পর্ক শুধু পরিবারের মধ্যে নয়, তা চাউর হয়ে যায় পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যেও। এরপরই তক্কে-তক্কে ছিলেন তাঁরা। ঘনিষ্ঠ অবস্থায় থাকাকালীনই সুযোগ বুঝে ধরে ফেললেন সকলে। তারপরই চলল গণ-প্রহার।
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ব্লকের গোসাইরহাটে ডিপটারি গ্রামের ঘটনা। বিষয়টি নজরে আসে শুক্রবার রাত্রিবেলা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রান্নাঘরে যখন শাশুড়ি কাজ করছিলেন। সেই সুযোগে মেয়ের জামাই রান্নাঘরে ঢুকে পড়েন। এবং শীতের রাতে ফাঁকা বাড়ির সুযোগে তাঁরা নিজেরা একান্তে অন্তরঙ্গ মুহুর্তে লিপ্ত হতে থাকেন বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আর সেই সময় গিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন দু’জন গ্রামবাসী। এরপর আশপাশর থেকে প্রতিবেশীদের ডেকে আনা হয় ঘটনাস্থলে। দড়ি দিয়ে বাঁধা হয় তাজিবুল হককে। এমনকী শাশুড়িকেও প্রথমে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন তাঁকে ছেড়ে দেয়।
এ দিকে, কয়েকজন উত্তেজিত জনতা উত্তম মধ্যমও দেয় সেই যুবককে। খবর পেয়ে রাতেই গ্রামে যায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ বাহিনী। উদ্ধার করে নিয়ে আসেন শাশুড়ি এবং মেয়ে জামাইকে। বর্তমানে তারা ধূপগুড়ি থানায় রয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করেছে ধুপগুড়ি থানার পুলিশ।
এলাকাবাসী বলেন, “আমাদের সন্দেহ ছিল আগে থেকেই। ওদের বাড়িতে কেউ ছিল না। জানালা দিয়ে দেখি রান্নাঘরে ঢুকে ওরা কীসব করছিল। তারপরই আমরা হাতেনাতে ধরে ফেলি। এরপর গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই ওরা অবৈধ সম্পর্কে ছিল বলে আমরা জানি।”