ধূপগুড়ি: বিজেপির পঞ্চায়ের সদস্য়ের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্না দিলেন এক বিবাহিত মহিলা। মহিলার অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার জেরে ব্যাপত চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। মহিলার ধর্নার সময় আশপাশের প্রচুর লোকজন ভিড় জমিয়েছিলেন সেখানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পঞ্চায়েত সদস্য ও মহিলাকে থানায় নিয়ে যায়। মহিলা বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ করেছেন পুলিশের কাছে। এর পর বিজেপির ওই পঞ্চায়ের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জগদীশ রায়। বিজেপির টিকিটে জিতে পঞ্চায়েতের সদস্য হন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতেই ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজারের দায়িত্ব দেওয়া হয় মাম্পি অধিকারীকে। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। কাজের সূত্রেই জগদীশের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে দাবি মাম্পির। এর পরই বিয়ের দাবিতে জগদীশের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন মাম্পি। তা দেখেই এলাকাবাসী ভিড় জমান সেখানে। জানা গিয়েছে, মাম্পি ওই পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ করতেন। জগদীশের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরই তাঁকে ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার পদে আনা হয়।
স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে জগদীশের বাড়িতে আসে পুলিশ। তার পর ২ জনকেই নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। জগদীশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ আনে মাম্পি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় জগদীশকে। শুক্রবার জগদীশকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছিল। মাম্পির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জগদীশ। তবে মাম্পি শ্বশুরবাড়ির চাপেই এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তাঁর। অন্য দিকে ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান বলেছেন, “বিজেপির স্বভাবই লোকের দুর্বলতার সুযোগ নেওয়া। মহিলাদের সুযোগ নিতেও ছাড়ে না ওরা।”