Maynaguri women Harassment: কাঠগড়ায় এবার তৃণমূল নেতার ভাই, কিশোরীকে শারীরিক নির্যাতনের পর অভিযোগ প্রত্যাহারের হুমকি, তারপর যা হল…
Maynaguri: গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি বাড়িতে একা থাকার সুযোগে নাবালিকার বাড়িতে ঢোকে এক যুবক।
জলপাইগুড়ি: গত এক সপ্তাহের মধ্যে চার-চারটি ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে। যা নিয়ে রীতিমত তোলপাড় বাংলা। বাংলায় নারী নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। সেই সকল ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জলপাইগুড়ি থেকে ফের নারী নির্যাতনের খবর। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে নাবালিকার সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয় মেয়েটির সঙ্গে। তারপর নাবালিকা চিৎকার শুরু করলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে জামিনে ছাড়া পায় সে। অভিযোগ এরপর ফের বাড়িতে ঢুকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলে নাবালিকাকে নচেৎ প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেয়। ভয় পেয়ে শেষমেশ মেয়েটি গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সে ভর্তি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। সূত্রের খবর অভিযুক্তের দাদা স্থানীয় তৃণমূল নেতা। ঘটনায় গ্রেফতার এক।
ময়নাগুড়ির ঘটনা। গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি বাড়িতে একা থাকার সুযোগে নাবালিকার বাড়িতে ঢোকে এক যুবক। মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। এমনকী তাঁর জামা-কাপড় ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর নাবালিকা চিৎকার করলে অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে ওই যুবক উধাও হয়ে যায় বলে খবর। এরপর পরিবার ময়নাগুড়ি থানার দারস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এর কিছুদিন পর অভিযুক্ত আদালত থেকে জামিন নেয়।
পরিবারের অভিযোগ, বুধবার দুপুরে দুই যুবক তাঁদের বাড়িতে মুখ ঢেকে আসে। সেই সময় ওই নির্যাতিতা একা বাড়িতে ছিল। তাকে এসে ওই যুবকেরা দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে বলে। সঙ্গে খুনের হুমকি দেয়। আরও বলে, যদি অভিযোগ তুলে না নেওয়া হয় তবে তাদের বাড়ির সকলকে খুন করা হবে। সেই কথায় ভয় পেয়ে যায় মেয়েটি। আজ সকালে নাবালিকা বাড়ির সকলকে গোটা বিষয়টি খুলে বলে। তারপর দুপুর নাগাদ বাড়িতেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, “গোটা রাজ্যে যা হচ্ছে এখানেও ঠিক তাই হল। এক মাসের বেশি সময় ধরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল না। উলটে এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের ছত্র ছায়ায় থেকে গেলো। যার জেরে এই ভয়ংকর পরিণতি। এই সরকারের কাছে কিছু চেয়ে কোনও লাভ নেই। এখানে প্রশাসন বলে কিছু নেই। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শান্তি দিতে হবে।”
আরও পড়ুন: Jalpaiguri Death: বাড়িতে ছিল না বাবা-মা, সেই সময়েই কিশোরীর সঙ্গে ঘটে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা