BJP-TMC: উত্তরে ধাক্কা বিজেপির, শতাধিক কর্মী টেনে আরও শক্তি বাড়ল তৃণমূলের
North Bengal Politics: যোগদান সভায় শুধু মহুয়া গোপ নন, ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুরজাহান বেগম-সহ দলের একাধিক নেতা-কর্মী। তৃণমূলে এসেই বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল নতুন কর্মীদের।

ধূপগুড়ি: উত্তরবঙ্গে পদ্ম শিবিরে ক্ষয়টা শুরু হয়ে গিয়েছিল অনেক আগে থেকেই। এরইমধ্যে এবার বিজেপিতে জোর ধাক্কা ধূপগুড়িতে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান ২০টি পরিবারের প্রায় ১০০ জনের। তৃণমূল বড় যোগদান সভা করে ফেলল ধূপগুড়ি মহাকুমার বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে কালাচাঁদ পাড়ায়। এই নতুন যোগদানকে কেন্দ্র করেই এখন জোর চর্চা জেলার রাজনৈতিক মহলে। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মহুয়া গোপের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে গেল ওই ২০ পরিবার।
যোগদান সভায় শুধু মহুয়া গোপ নন, ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুরজাহান বেগম-সহ দলের একাধিক নেতা-কর্মী। তৃণমূলে এসেই বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল নতুন কর্মীদের। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করা অরুণ সরকার খানিক ক্ষোভের সঙ্গেই বলছেন, “আগে আমরা সবাই বিজেপিতে ছিলাম। কিন্তু ওদের নীতি ও আদর্শ আমাদের ভাল লাগেনি। তাই শেষ পর্যন্ত দলবদলের সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে ২০টি পরিবার আমরা আজ তৃণমূলে চলে এলাম।”
ভোটের আগে নতুন কর্মীদের পেয়ে উচ্ছ্বসিত এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বও। তাঁদের দাবি, রাজ্যে যেভাবে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে তাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী নীতির উপর মানুষের ভরসা আরও বাড়ছে। সে কারণেই দিকে দিকে সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। নতুন কর্মীদের পেয়ে দল আরও শক্তিশালী হল বলেই মনে করছেন দলের নেতারা। সামনেই বিধানসভা ভোট, তার আগে একেবারে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের হারিয়ে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তিও কিছুটা কমবে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।
