জলপাইগুড়ি: রোজই উদ্ধার হচ্ছে মর্টার সেল। মর্টারের গোলা ফেটে এক মৃত্যুর খবরও মিলেছিল দুই দিন আগে। এরইমধ্যে জলপাইগুড়ির তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের হাতে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী খতিয়ে দেখতে এলেন সেনা কর্মীরা। তিস্তাপাড়ের পাহাড়পুর, পাতকাটা, খড়িয়া প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে মজুত রয়েছে সেনা বাহিনীর গোলা বারুদ সহ অন্যান্য সামগ্রী। যেগুলি ফিরিয়ে দিতে চান স্থানীয় বাসিন্দারা। সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হতেই এবার এলাকাগুলিতে এসে হাজির সেনা কর্মীরা। শনিবার তাঁরা এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
আনোয়ারা বেগম বলেন, তিস্তা নদী থেকে আমরা একটি জিনিস কুড়িয়ে আনছিলাম। তখন একজন বলল এটা বোমা। আমরা তখন নদীতে ফেলে দিই। এখন যাঁরা এইসব নিয়ে এসেছে তাঁরা বুঝবে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাদল চন্দ্র সরকার বলেন, তিস্তায় কাঠ কুড়োতে গিয়ে যে যা পেয়েছে নিয়ে এসেছে। এরপর ক্রান্তিতে বিস্ফোরণ হবার পর সবার ঘুম উড়ে গেছে। এখন ওইসব জিনিস পুকুরে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসেছিল। বলে গিয়েছে যাঁদের তাঁরা এসে নিয়ে যাবে।
ময়না সরকার বলেন, আগে যদি জানতাম এগুলি বোমা তবে কী আমরা এইসব জিনিস বাড়িতে আনতাম। আমরা জানি না তাই এনেছি। এখন সবাই মিলে আমার বাড়ির কাছে পুকুরে এইসব ফেলে দিয়ে গিয়েছে। যদি এখন ফাটে তবে বাড়ির সকলে মিলে মারা যাব। আমরা চাই এগুলি খুব তাড়াতাড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাক।
অপরদিকে তিস্তাপাড়ের সামগ্রী উদ্ধার নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফের নতুন করে সচেতনতা প্রচার শুরু করা হয়েছে। বলা হয়েছে তিস্তা নদীপার সংলগ্ন এলাকা পুরো স্যানেটাইজ করতে আরও অন্তত সাতদিন সময় লাগবে। এরমধ্যে কেউ যেন নদী থেকে কোনও জিনিস কুড়িয়ে না আনে।